Take a fresh look at your lifestyle.

নামে বেগুন-কাজে গুণের অভাব নেই

0

সংবাদকক্ষ :

বেগুন, এই নামের অর্থ হওয়া উচিত ছিলো ‘যার কোন গুণ নাই-তাই বেগুন’। বাস্তাবতা ভিন্ন। খাদ্যতালিকায় ১০০ গ্রাম বেগুন যুক্তে করে ৪২ কিলো-ক্যালোরি খাদ্যশক্তি পাওয়া সম্ভব।

বেগুন থেকে আমরা ফাইবার পেয়ে থাকি। বেগুন উচ্চমানের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। কোলন ক্যান্সারের আক্রমণ ঠেকাতে বেগুন অতুলনীয়।বেগুনের আরও কিছু গুণ :

বেগুনে আছে পর্যাপ্ত ফাইবার যা খিদা কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য বেগুন ভালো। এতে আছে ক্লোরজেনিক নামের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রক্তের খারাপ কোলেস্টোরলের পরিমাণ কমিয় দেয়। ভিটামিন বি৬ ও ফ্লাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। বেগুনে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় হার্টের ধমনী ও শিরা-উপশিরা গুলো ভালো থাকে। বেগুনের পটাশিয়াম ও অ্যান্থোসায়ানিন আছে যার ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। বেগুনে কার্বোহাইড্রেট কম কিন্তু ফাইবার বেশি থাকায় ডায়বেটিক রোগীরা অনায়াসে বেগুন খেতে পারেন। এমনকি বেগুন খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণও ঠিক থাকে। বেগুনের পিচ্ছিল পদার্থ ফাইটোনিউট্রিন্টস মগজের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে। প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পানি থাকার ফলে বেগুন খেলে ত্বক সজীব ও উজ্জ্বল থাকে। চুলের উজ্জ্বল ও ঢেউ খেলানো ভাব এনে দেয়, এবং চুলকে মসৃণ ও ঘন কালো করে।

আছে সতর্কতাও
বেগুনে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অ্যালার্জি বা ব্রণ অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে, তাদের চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করে তবেই খাদ্যতালিকায় বেগুন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.