Take a fresh look at your lifestyle.

ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফের ১১ বছরের কারাদণ্ড

0

সংবাদ কক্ষ :

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ‘ভুয়া’ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন জাতিয়াতি মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাকি ৬ আসামি হলেন— আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, জেকেজির সমন্বয়ক আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।

রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ অপরাধে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

এর আগে, সকালে আসামিদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্ট চত্বরে হাজির করা হয়। পরে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

গত ২৯ জুন উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক তোফাজ্জল হোসেন রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলাটির চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম রোমিও, স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা এবং বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজাদ রহমান। মামলার ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্ত করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার।

এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.