দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর :
মেহেরপুর শহরের ফুলবাগান পাড়ার যুবক দবির উদ্দিন পোষ মানিয়েছে ‘কালো ডানা চিল’ পাখিকে। চিলটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন একটি বিলপাড়ে এক মহিরুহর নিচে। পরম মমতায় নিয়ে আসেন বাড়ি। তিনমাস আগে কুড়িয়ে পাওয়া চিলটি তখন উড়তে পারত না। নিজহাতে ছোট ছোট মাছ, গোশতের টুকরা, গম, ভুট্টা ইত্যাদি খাইয়ে বড় করেছেন। এখন উড়তে শিখেছে। দবিরের সাথে সাথে চলাচল করে। তার হাতে মাথায় বসে থাকে।
দবির উদ্দীনকে দেখা যায় হাতে কালো ডানা চিল নিয়ে ঘুরতে। দবিরের বয়ানে : গত এপ্রিল মাসে কুঠিপাড়া বিলপাড়ে এক বটগাছের নিচে পাখিটি পড়ে ছিল। তিনি কুড়িয়ে এনে অনেক কষ্টে এতদিন রেখেছেন। এখন সে পোষ মেনেছে। অন্যান্য পাখির মতো রবিশস্যসহ মাছ মাংস খায়। ছোট ছোট পোকামাকড় শিকার করে। তার ভয়ে বাড়িতে ছোট ছোট পাখিরা আসেনা। প্রথমদিকে বাড়ির মুরগি ভয় করে সরে যেত। এখন মুরগিগুলোরও ভয় কেটেছে। কেউ পাখিটিকে ধরলে পায়ের নোখ দিয়ে খামচে ধরে। ঠোকা মেরে কামড়ে ধরে। তবে তাকে সে চেনে। নিজেই উড়ে এসে তার মাথায়, ঘাড়ে বসে। ক্ষিদে পেলে বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়ে খাবারের সন্ধানে চলে যায়। ফিরেও আসে। তাই মায়া জন্মেছে পাখিটার প্রতি।
কুষ্টিয়া জেলা বার্ড ক্লাবের সভাপতি সদানন্দ মন্ডল জানান, কালো ডানা চিল এসিপিট্রিডে পরিবারভুক্ত চিল প্রজাতির ছোট্ট শিকারী পাখি। লম্বা বাজপাখীর মতো শিকারের প্রাক্কালে পাখার বিস্তরণের পাশাপাশি লেজেরও বিস্তৃতি ঘটে থাকে। এদের চক্ষুর অবস্থান এবং কোমলাকৃতি পালকগুলোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে পেঁচার বেশ মিল আছে। অবস্থানভেদে কালো ডানা চিল বছরের বিভিন্ন সময়ে বাসা বাঁধে, ডিম পাড়ে।