চুয়াডাঙ্গায় সাপের ছোবলে প্রাণ গেল ২ মাদ্রাসাছাত্রের
প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাপের ছোবলে দুই মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাদের তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত আব্দুল্লাহ মিয়া দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের ডাক্তারপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং জুনায়েদ হোসেন ওই একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার শওকত আলীর ছেলে। তাদের বয়স ১৩ বছর। তারা চন্দ্রবাস দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল। আবাসিকে থেকেই লেখাপড়া করত তারা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে যখন বাইরে বের হই তখন দেখি আব্দুল্লাহ ও জুনায়েদ বমি করছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে কিছু একটা কামড় দিয়েছে, তাই বমি হচ্ছে। এ সময় দেখি আব্দুল্লাহর ডান পায়ে এবং জুনায়েদের বাম হাতে ছোবলের চিহ্ন।
‘আমার সন্দেহ হলে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। ওই গ্রাম্য চিকিৎসক তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’
মাদ্রাসার পরিচালক হাজি আক্তার ফারুক বলেন, ‘ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের সাপে ছোবল দেয়। পরে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মারা যায় তারা।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই মাদ্রাসাছাত্রকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তাদের সাপে কেটেছে বলে পরিবারের লোকজন জানান।
‘আমরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেই। তবে কোন সাপ তাদের ছোবল দিয়েছে তা বলতে পারেননি তারা। তাদের শরীরে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দেয়া হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মারা যায় ওই দুই ছাত্র।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ওই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।