Take a fresh look at your lifestyle.

অভয়নগরে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

0

প্রতিবেদক :
অভয়নগরে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার বুইকারা গ্রামের জগবাবুর মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাফিজুর রহমান বুইকারা গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে।

মামলার বাদি স্কুলছাত্রীর মা রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ট্রাকের হেলপার। আমি বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করি। ধর্ষক হাফিজুর আমাদের প্রতিবেশী। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সি একটি মেয়ে আছে। প্রায় সময় সে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। চলতি বছরের ১৩ জুলাই হাফিজুরের খালা রোকেয়া বেগম আমাদের বাড়িতে আসে এবং হাফিজুরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে বলি আমার মেয়ে বুইকারা আল হেলাল ইসলামী একাডেমির ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের বয়স হয়নি, ও এখনও শিশু।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন দুপুরে রোকেয়া বেগম আমাকেসহ আমার মেয়েকে হাফিজুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় আমার মেয়ের স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি কৌশলে একটি সাদা কাগজে আমার ও আমার মেয়ের স্বাক্ষর করিয়ে বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এখন থেকে তোমার মেয়ে হাফিজুরের স্ত্রী। আমি ও আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলে হাফিজুর ও এলাকার কয়েক সন্ত্রাসী ভয়ভীতি এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ১৭ জুলাই রাতে ওরা আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি হাফিজুরসহ জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি।’

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ‘১৩ থেকে ১৬ জুলাই হাফিজুর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। আমি বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছি। আমি ওদের বিচার দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে আটক হাফিজুর রহমান বিয়ে করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে।’ জোরপূর্বক বিয়ে করা হয়নি। ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও বাল্যবিয়ে করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো কথা বলেননি।

আল হেলাল ইসলামী একাডেমির ধর্মীয় শিক্ষা রুহুল আমি বলেন, হাফিজুরসহ কয়েক সন্ত্রাসী আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্ম করিয়ে এ কাজ করিয়েছিল। প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে আমি বাধ্য হয়েছিলাম। তবে বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শামীম হাসান বলেন, সোমবার মধ্যরাতে মামলা দায়েরের পর আসামী হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে সে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করবে।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.