যশোরে বাড়লো বাইসাইকেলের দাম

প্রতিবেদক :
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে যশোরের বাজারে বাইসাইকেলের দাম বেড়ে গেছে। বেড়েছে বিক্রিও। ক্রেতারা বলছেন বাইসাইকেল যেন তেলে চলে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাইসাইকেলের কাঁচামালের মূল্য বিশ্ববাজারে বৃদ্ধি পাওয়া এবং কিছু পার্টস আমদানি কমে যাওয়ার কারণে বাইসাইকেলের দাম বেড়েছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা বা তারও বেশি।

রোববার যশোর শহরের একাধিক দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার হিরো সাইকেল বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ২শ’ টাকা, রোববার সেই সাইকেল বিক্রিমূল্য ছিল ৮ হাজার ৯শ’ টাকায পর্যন্ত, ছোটদের ২০ ইঞ্চি, ১৬ ইঞ্চি এবং ১২ ইঞ্চি বাইসাইকেল বেড়েছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা । এছাড়া এভোন ১০ হাজার টাকা থেকে ১১ হাজার ৯শ’ টাকা, গিয়ার সাইকেল ১৩ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ হাজার টাকা হয়েছে। ফনিক্স ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১১ হাজার ৯শ’ টাকা। ক্যাপ্টেন সাইকেল ৭ হাজার ৩শ’ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকায় ।

অধিকাংশ বাইসাইকেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। কিছু বাইসাইকেল দেশে উৎপাদন করা হয়। এর কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। তাই বাইসাইকেল বাহন খরচ, দোকান খরচ, কর্মচারী বেতনসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে

• শেখ সানোয়ার হোসেন, প্রোপ্রাইটর, নাফা সাইকেল স্টোর

ক্রেতা হাসানুর রহমান বান্না জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাইকেল কেনার কথা ভাবছিলাম। একদিনেই দাম বেড়ে যাবে ভাবিনি। হঠাৎ বাইসাইকেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শহরের দড়াটানাস্থ দোস্ত এন্ড কোম্পানির মালিক জাফর আলী বলেন, বিশ্ববাজারে ডলার, তেল, লোহার কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব বাইসাইকেলের উপরে পড়েছে।

নাফা সাইকেল স্টোরের প্রোপ্রাইটর শেখ সানোয়ার হোসেন জানান, অধিকাংশ বাইসাইকেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এবাদে কিছু বাইসাইকেল দেশে উৎপাদন করা হয়। এর কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। তাই বাইসাইকেল বাহন খরচ, দোকান খরচ, কর্মচারী বেতনসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার শাহ আলম জানিয়েছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাইসাইকেল ও সাইকেলের কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। তাই সাইকেলের দাম বেড়েছে।