Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাদের বাড়ি ও কার্যালয় পরিদর্শনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

0

প্রতিবেদক :
হামলা ও ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে বিএনপি কার্যালয় ও দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামসহ জেলার চার শীর্ষনেতার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বধীন একটি প্রতিনিধিদল শহরের পিলু খান সড়কে বিএনপির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, উপশহরের বিএনপির জেলা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং শহরের ধর্মতলা এলাকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি পরিদর্শনে যান। এ সময় জেলা বিএনপি ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সোমবার বিকেলে যশোরে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লালদীঘিপাড়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না, আর যা করেন তা বলেন না। এটা এক ধরনের প্রতারণা। জনগণকে ধোঁকা দেয়া বলে। প্রশাসনের মধ্যে অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্য আছে, যারা রাতের আঁধারে ভোট কাটতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। হাসিনা সরকার টিকে থাকার চেয়ে তারা বেশি আতঙ্কিত ভবিষতে চাকরি থাকবে কিনা। এ কারণে বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে যতটা না আগ্রহ, তার চেয়ে বেশি উৎসাহ তাদের (পুলিশ)। পুলিশের কাজ আইনশৃৃংখলা নিশ্চিত করা । দুষ্টের দমন, সৃষ্টের পালন করা পুলিশের কাজ। কিন্তু পুলিশ দুষ্টের পালন করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে পারি। বাধা আসলে আমরা প্রতিরোধ করবো। আক্রমণ আসলে প্রতিআক্রমণ করবো। কিন্তু জনগনের রেভিনিউয়ের টাকা দিয়ে গুলি কিনে সরকারকে টেকানোর জন্য হাতিয়ার বাহিনী আছে। সেই হাতিয়ার বাহিনীকেও মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে আমাদের দুইভাই ভোলায় শহীদ হয়েছেন এই হাতিয়ার বাহিনীর হাতে। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলে রাজপথ রঞ্জিত হবে, এটা আমরা জানি। জেনেশুনেই আমরা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের দিনের বেলায় রাজনীতি করার সাহস নেই। দুর্বৃত্তের মতো রাতের বেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে। আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তের দল। তার পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছেনা। এজন্য দলের ক্যাডারদের মাঠে নামিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবিরা নাজমুল, আবুল হোসেন আজাদ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

এদিকে, জেলা বিএনপির কার্যালয় ও দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামসহ চার নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। দলের পক্ষ থেকেও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। রবিবার জেলা বিএনপি কার্যালয় ও বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায়ও কোনো মামলা হয়নি।

কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি কার্যালয় ও অনিন্দ্য ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ বা মামলা দেয়নি। যে কারণে কাউকে আটক করাও যায়নি। আর রুপদিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২৮ জনকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে আমরা হামলাকারীদের চিনতে পেরেছি। মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করা হবে।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.