Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরেও ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রম উদ্বোধন

0

প্রতিবেদক :
যশোরেও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) যশোর সদরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।

কর্মসূচির প্রথমদিনেই মিলেছে ব্যাপক সাড়া। জেলার ৪২টি স্থানে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এই চাল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবার টিসিবির কার্ডধারীরাও ১৫ টাকা দরে এই চাল কেনার সুযোগ পেয়েছেন। একজন একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে টানা তিন মাস।

এদিকে, নিত্যপণ্যের চড়া দামের এ সময়ে ন্যায্যমূল্যে চাল পেয়ে খুশি সীমিত আয়ের মানুষ। আর সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, যশোরে শুক্র-শনিবারসহ ছুটির দিনবাদে প্রতিদিন ১৫ হাজার মানুষ পাবে ৩০ টাকার চাল। একজন কার্ডধারী মাসে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেতে পারবেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে বেশি দামে চাল কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে সাধারণ মানুষ। আর দমবে অতিমুনাফাখোর বিক্রেতারা।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চালের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা প্রদান করতে সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্নআয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত এ চাল বিক্রি করা হবে। যশোর পৌরসভার ১৪টি স্থানে প্রতিদিন ২২ মেট্রিকটন, মণিরামপুর, কেশবপুর, নওয়াপাড়া, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও চৌগাছা পৌরসভার ২৬টি স্থানে ৫০ মেট্রিকটন এবং শার্শা উপজেলার দু’টি স্থানে চার মেট্রিকটন করে চাল বিক্রি করার নির্দেশনা রয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা প্রতিদিন কিনতে পারবেন পাঁচ কেজি করে চাল।

ওএমএসের পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা। সেক্ষেত্রে হালনাগাদ কার্ড থাকতে হবে। ওই কার্ড যাচাই হতে হবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে। যাদের কার্ড এখনও যাচাই হয়নি তারা কোনোভাবেই চাল কিনতে পারবেন না। জেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫ হাজার ৬৫৫ জন ৩০ টাকা দরে চাল কিনতে পারবেন। জেলার ৯৩টি ইউনিয়নে ২৬২ জন ডিলার এই চাল বিক্রি করবেন। যশোর পৌরসভায় প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ১.৫৭, কেশবপুর-মণিরামপুর-অভয়নগর-বাঘারপাড়ায়-ঝিকরগাছা-শার্শাতে ২ ও চৌগাছায় ১.৫ মেট্রিকটন করে চাল বিক্রি করতে পারবেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার যশোর সদরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ, নওয়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তুহিন প্রমুখ।

জেলায় যে যে স্থানে বিক্রি হচ্ছে ওএমএস চাল
যশোর পৌরসভায় প‚র্ববারান্দিপাড়া ঢাকারোডে আবুল কাশেম বাবু, প‚র্ববারান্দি সরদার পাড়ায় হুমায়ুন কবির নাহিদ ও সাবিদ হাসান, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে রবিউল ইসলাম, হাটখোলা রোডে শ্যামল কুমার সাহা, পুরাতন কসবা আব্দুল আজিজ সড়কে হাসান ইকবাল, ধর্মতলায় রোকন ব্যাপারি, ষষ্টিতলাপাড়া মুজিব সড়কে লাইজুজামান, রেলবাজারে বাহাউদ্দিন, রেলরোড চারখাম্বার মোড়ে তোতা মিয়া, বেজপাড়া গুলগোল্লার মোড়ে গোলাম মোস্তফা, শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ায় ইব্রাহিম খান, বকচর হুঁশতলায় সালাউদ্দিন, বিসিক শিল্পনগরী ঝুমঝুমপুরে নিতাই চন্দ্র সাহা ও পশ্চিম বারান্দি নাথপাড়ায় ইউসুফ আলী বিশ্বাস ৩০ টাকা দরের চাল বিক্রি করবেন।

এর বাইরে কেশবপুরের চারআনি বাজারে ওয়াহেদুজ্জামান, হাসপাতাল মোড়ে স্বপন মুখার্জি ও চিংড়া মোড়ে বিষ্ণুপদ দাস, মণিরামপুরের উত্তর মাথায় মোন্তাজ বিশ্বাস, মণিরামপুর আদর্শ সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজিজুর রহমান, মণিরামপুর উত্তর মাথা বাসস্ট্যান্ডে রবিউল ইসলাম ও মণিরামপুর উত্তর মাথায় সুমন কুমার দাস, অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় আলী হায়দার, ভাঙ্গাগেট বাজারে গোলাম জহিরুল হক লিখন, নুরবাগ-কালাহাটা, নওয়াপাড়া বাজারে দেলোয়ার হোসেন, নতুন বাসস্ট্যান্ড ও নওয়াপাড়ায় কেএম নাজমুল ইসলাম বাবলু, বাঘারপাড়ার চৌরাস্তা, স্বর্ণ পট্রি রোডে শচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, দোহাকুলা বাজারে শেখ রাইসুল ইসলাম রানা ও থানা বাজারে বজলুর রহমান, ঝিকরগাছা রোড, চৌগাছায় শেখ মইনুল হাসান বাচ্চু, হাইস্কুল রোডে মাহাতাব উদ্দিন, নিরিবিলিপাড়া রোডে শাহাজ্জেল হোসেন ও হাসপাতাল রোডের মেহেদী হাসান, ঝিকরগাছার বটতলা মোড়ে আবুল হাসান মুন্না, অগ্রণী ব্যাংক এর নীচে হাসান মাহমুদ মুকুল ও গোহাটায় সৈয়দ ইমরানুর রশিদ, বেনাপোলের ভান্ডারি মোড়ে মাহাতাব উদ্দিন, বেনাপোল রজনী ক্লিনিকের সামনে আব্দুল মালেক, কাগজপুকুর বাজারে জুলফিকার আলী ও ছোটআঁচড়া মোড়ে জুলফিকার আলী মন্টু ৩০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করবেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.