Take a fresh look at your lifestyle.

মনিরামপুরে নিজ বাড়ি থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

0

প্রতিবেদক :
যশোরের মনিরামপুরের নিজ বাড়ি থেকে আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইয়াসিন আরাফাত (৩৫) নামে এক মাইক্রোবাস চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের গলায় ও পিঠে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ইয়াসিন আরাফাতকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

ইয়াসিন আরাফাতের বাবার নাম মতলেব সরদার। তার আদি নিবাস সাতক্ষীরায়। ১৭ বছর ধরে তিনি মনিরামপুরের গালদা মানিকতলায় স্ত্রী ও এক শিশু ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ এলাকায় ভাড়ায় মাইক্রোবাস চালাতেন তিনি।

ইয়াসিনের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, আমার নানার অসুস্থতার কথা শুনে ছেলেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাশের দিঘীরপাড় গ্রামে নানা বাড়িতে যাই। রাতে আমার স্বামী বাড়িতে একা ছিলেন। শুক্রবার ভোররাতে নানার মৃত্যু হলে স্বামীকে বহুবার মোবাইলে কল করে পাইনি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি এসে দেখি নলক‚পের পাড়ে আমার স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ি আসেন ইয়াসিন। তার বাড়ি প্রাচীর ঘেরা। ভিতর দিয়ে বাড়ির মূল ফটকে তালা দেওয়া ছিল। সকালে ইয়াসিনের স্ত্রী এসে গেট খুলে কলপাড়ে স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তখন সবাই এগিয়ে আসেন। ইয়াসিনের গলায় দাগ রয়েছে। পিঠের একপাশে ক্ষত স্থানে রক্ত লেগে আছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কেউ বাড়িতে ঢুকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) সমেন বিশ্বাস বলেন, রাতে ইয়াসিনের স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। লাশের গলায় ও পিঠে দাগ রয়েছে। মরদেহের পাশে একটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। দেহে সুচ ফুটানোর স্থান পাওয়া যায়নি। এটা হত্যা না আত্মহত্যা কিছু বোঝা যাচ্ছে না। মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তেন জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, পারিবারিক দ্ব›দ্ব অথবা পূর্বশত্রæতার জেরে এ হত্যাকান্ড হতে পারে। নিহত ইয়াসিন ও জোৎসনার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরর্বতীতে ইয়াসিন তার আপন ছোট শ্যালিকার সাথে প্রেমে জড়িয়ে বড় স্ত্রী জোৎসনাকে ছেড়ে দিয়ে ছোট শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর ইয়াসিন দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ শ্যালিকাকে তালাক দিয়ে পুনরায় বড় স্ত্রী জোৎসনাকে বিয়ে করেছিলেন।

মনিরামপুর থানার ওসি নূর-ই আলম সিদ্দীকি জানান, নিহত ইয়াসিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.