Take a fresh look at your lifestyle.

পুলিশ পরিদর্শকের নামে দুর্নীতি মামলা করার অপরাধে ভাংচুর মামলার আসামী!

0

প্রতিবেদক :
যশোরের রূপদিয়ায় মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনায় যশোর জেলা বিএনপি নেতা গোলাম রেজা দুলুসহ ৫৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান সাকির (৩৮) শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালী থানায় এ মামলা করেন। এই মামলায় ২০ নম্বর আসামি করা হয়েছে যশোর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাসুম কবিরকে। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমের ছেলে। আবুল হাশেম দেশ স্বাধীনের পর সদরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন। মাসুম কবির অভিযোগ করে বলেছেন, আমি রাকিবুজ্জমান নামে পুলিশের এক কর্মকর্তার নামে দুর্নীতির মামলা করেছিলাম। সেজন্য আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হয়েও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে আমাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২৭ আগস্ট দুপুরের দিকে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাজমা খাতুনসহ উপস্থিত লোকজনকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে আহত এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশি তৈরি রাম দা, লোহার রড, এস এস পাইপ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে। পরিষদ ভবনের ২টি সোলার, একটি সনি ব্রাভিয়া টেলিভিশন ১৫টি সিসি ক্যামেরা মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবহৃত ২টি এইচপি ল্যাপটপ মূল্য একলাখ টাকা, অফিস কক্ষে রক্ষিত এলজিএসপি কর্নারে রাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়।

মামলাটির বাদী নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান সাকির জানান, মাসুম কবির নামে আমি কাউকে চিনিনা। এসব মামলায় কিভাবে হয় তা তো আপনারা ভালো বোঝেন।

যশোর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুর রহমান রিপন বলেন, মাসুম কবির এলাকায় নিরীহ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। সে কখনও কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু বলেন, মাসুম কবির আমাদের দলের কর্মী। তার বাবাও আওয়ামী লীগের পদে ছিলেন।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আবুল হাশেম স্যার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন। তার পরিবার স্বাধীনতার পক্ষের দল করেন।

মামলাটির আসামি মাসুম কবির জানান, ২০২১ সালের ২ মে মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মাহফুজুর রহমান নামে একজনকে অন্য রোগীরা পিটিয়ে হত্যা করে। প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ির সাবেক পরির্দশক রোকিবুজ্জামান আমাকে মামলার আসামি করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যা মামলার আসামি করে। পরে আমি জামিন নিয়ে পুলিশ পরিদর্শকের নামে আদালতে মামলা করি। এজন্য আমাকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ভাংচুর মামলার আসামি করেছে। অথচ আমার বাবা আওয়ামী লীগ করেছেন। আমার পরিবারও আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া ভাংচুর মামলার বাদীও আমাকে চেনেনা।

এব্যাপারে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, মাসুম কবীর কিভাবে আসামি হলেন সেটি বাদী জানেন। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.