Take a fresh look at your lifestyle.

নিখোঁজের পর প্রতিবেশির বাড়ির চালের ড্রাম থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

0

প্রতিবেদক : আপেল খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ৪ বছরের শিশু সানজিদা জান্নাত মিষ্টিকে হত্যা করেছে প্রতিবেশি এক নারী। রাগের বশবর্তী হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিজের ব্রা ও গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে এবং মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশুটিকে। হত্যারহস্য গোপন করতে মরদেহ বড়ির সিড়ির নিচে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে চাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আঞ্জুয়ারা খাতুন (৪০) এবং তার স্বামী বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী উত্তরপাড়ার রেজাউল ওরফে রেজাকে আটক করা হয়েছে। নিহত সানজিদা ঐ গ্রামের সোহেল হোসেনের মেয়ে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আঞ্জুয়ারা খাতুন ও তার স্বামী রেজাউল ওরফে রেজার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে সানজিদার মা শরিফা খাতুন অবগত ছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় আঞ্জুয়ারার বাকশক্তিহীন প্রতিবন্ধি ছেলে অপূর্ব হাসানের (৭) সাথে মিষ্টির হাতাহাতির সময় ছেলেকে পাগল বলে গালি দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন আঞ্জুয়ারা। এই রাগের বশবর্তী হয়ে আঞ্জুয়ারা তার স্বামী রেজাউলসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির পরামর্শে শনিবার দুপুর ১২টা হতে বিকাল ৪টার মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চালের ড্রামের মধ্যে রেখে চাল দিয়ে ঢেকে রাখে। এছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সানজিদার পরিবারের লোকদের বাড়ির পাশে পুকুরে তল্লাশি করার পরামর্শ দেয় এবং বিভিন্ন জায়গায় তাদের সাথেই খোঁজাখুজি করে। পরে তারই স্বীকারোক্তিতে ডিবি ও থানা পুলিশ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শত শত মানুষের সামনে আঞ্জুয়ারার চালের ড্রাম দেখানোর পর নিজ হাতে বের করে আনে মিষ্টির মৃতদেহ।
যশোর ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, মিষ্টিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে শিশুকে হত্যা করেছে প্রতিবেশী ঐ নারী। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.