Take a fresh look at your lifestyle.

ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ

যশোরে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

0

প্রতিবেদক :
ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) কেশবপুরের সাতাইশকাটি গ্রামের রবিন কুমার দের ছেলে রিপন কুমার দে বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইমরান হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলেন : ঝিকরগাছার আলিপুর গ্রামের বিএসএম আলী আকবরের ছেলে সরদার জাকারিয়া সুমন প্রিন্স, দিকদানা গ্রামের কেষ্ট কুন্ডুর ছেলে জয়ন্ত কুন্ডু, বাউসা গ্রামের মৃত বিলাত গাজীর ছেলে ছাকাতুল্লাহ ও মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের মোড়লের ছেলে আব্দুল মজিদ মোড়ল।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিপন কুমার দে এমবিএ পাশ করে ব্যাংকে চাকরির জন্য চেষ্টা করে আসছেন। এরমধ্যে আসামীরা তাকে জানায় তাদের আত্মীয়-স্বজন ব্যাংলদেশ ব্যাংকে চাকরি করে, সেই সুবাদে তাকে অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি পাইয়ে দিতে পারে। এজন্য তার ৭ লাখ টাকা দাবি করেছিল। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রিপন কুমারের পরিবার ২০২১ সালের ২৮ মার্চ আসামীদের হিসাব নম্বরে একলাখ টাকা দেয়। এদিন তারা রিপনের ছবি বায়োডাটা ও সার্টিফিকেটের ফটোকপি নিয়ে এক বছরের মধ্যে চাকরি দেবে বলে জানিয়েছিল। ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আরও ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয় আসামীদের হিসাব নম্বরে। ৯ মাস পর আসামীরা রিপন কুমারকে ঢাকায় তাদের অফিসে নিয়ে যায় এবং অগ্রণী ব্যাংকে নিয়োগের কিছু কাগজপত্র দেখায়। রিপন কুমার বাড়িতে এসে দাবিকৃত টাকার আরও সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেয় আসামীদের। তার একটি চেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা লিখে রিপনকে দিয়ে দ্রুত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগপত্র দেবে বলে জানিয়ে চলে যায়। এরপর আসামীদের সাথে যোগযোগ করতে ব্যর্থ হয় রিপন কুমার। তাদের দেয়া চেক ব্যাংকে জমা দিলে একাউন্টটি বন্ধ আছে বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আসামীরা ঢাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়েছিল তা ছিল ভুয়া ও জালজালিয়াতি। আসামীরা চাকরি দেয়ার নামে পরিকল্পিতভাবে রিপনের কাছ থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পরবর্তীতে আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.