প্রতিবেদক :
মৃত মেয়ের গহনা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মা ও বোনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) মৃত নারগিস পারভীন মুক্তার স্বামী ঢাকা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের এ-ব্লকের ৮ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত শেখ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শেখ রাশেদ সুলতান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন : যশোর উপশহর ডি-বøকের ২০৫ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত শেখ নজরুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নেছা হাসি ও মেয়ে কনিকা পারভীন কনা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শেখ রাশেদ সুলতানের শ্বাশুড়ি জেবুন্নেছা হাসি ও স্ত্রীর বড় বোন কনিকা পারভীন। তিনি তার স্ত্রী নারগিস পারভীন মুক্তা ও ছেলে তীর্থকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর ১১ নম্বরে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালে মুক্তা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। ২০১৭ সালে ভারত থেকে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় মুক্তার। এরপর প্রায় প্রতিমাসে মুক্তাকে নিয়ে ভারত যাতায়াত করতে হতো। ভারতে যাতায়াতের সুবিধার্থে মুক্তার পিতার যশোরের বাড়ির নিচতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে ছেলে নিয়ে থাকত। চলতি বছরের ৫ মার্চ মুক্তা যশোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত ২২ জুলাই মুক্তার রেখে যাওয়া টাকা, গহনা ও এটিএম কার্ড ফেরত চাইলে আসামীরা শেখ রাশেদ ও তার ছেলে তীর্থকে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।