যশোরে মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বন্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধন
প্রতিবেদক :
যশোরের কেশবপুরের আড়ুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারসহ তিনটি পদে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, মাদ্রাসার সুপার, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ দিতে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সভাপতি আবদুস সামাদ মাস্টার ও ভারপ্রাপ্ত সুপার এই তিনটি পদে নিয়োগ দিতে অন্য এলাকার তিনজনের সাথে অঘোষিত অর্থ চুক্তি করেছেন। পরিচালনা কমিটির মেয়াদ আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর মাত্র ১০ দিন থাকায় এ সময়ের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করতে তোড়জোড় চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষ অনিয়ম মানছেন না।
আড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, আমার দাদা এ মাদ্রাসার জমিদাতা। আমার বোন সোনিয়া খাতুন আয়া পদে আবেদন করেছেন। নিয়োগ দিতে কয়েক শিক্ষকের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাশের উপজেলা মণিরামপুরের কোমরঘাটার একজনের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জনি দাবি করেন, আমি নিরাপত্তা প্রহরী পদে আবেদন করি। দাবি অনুযায়ী ১৫ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় এখন বলা হচ্ছে আবেদনপত্রে ত্রুটি আছে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য সিরাজুল ইসলাম গাজী দাবি করেন, সব পদে সভাপতি আবদুস সামাদ মাস্টার টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চায়। এলাকার মানুষের প্রাধান্য না দিয়ে মোটা অংকের টাকা দেয়ায় অন্য উপজেলার লোক নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ।
অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি আবদুস সামাদ মাস্টারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সভাপতি পদ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছিল। সম্প্রতি সভাপতি পদে আবদুস সামাদ মাস্টারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটির মেয়াদ আছে ১০ দিন। এ সময়ের মধ্যে সভাপতি নিয়োগ সম্পন্ন করতে চান। নিয়োগ বোর্ড গঠনের জন্য অধিদপ্তরে রেজুলেশন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও ডিজির প্রতিনিধি অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে আবেদনকারীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাঠানো হয়নি। আবার এলাকাবাসীও চাইছেন না তড়িঘড়ি করে নিয়োগ হোক। এজন্য এত অল্প সময়ে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছি।