Take a fresh look at your lifestyle.

উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

0

বার্তাকক্ষ :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝড়ের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত করে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে প্রতিঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। এটির কেন্দ্রে রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ভোলা হয়ে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে যাবে। তখন জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বৃদ্ধি পাবে পানির উচ্চতা।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ভোলার দিকে এগিয়ে গেছে। এ কারণে খুলনায় বাতাসের গতিবেগ একেবারেই কমে গেছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। থেমে গেছে বৃষ্টিও।

পটুয়াখালীতে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পটুয়াখালী শহর রক্ষা বাঁধের স্লুইস গেটগুলো অকার্যকর থাকায় লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টির পানি জমে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

পানিতে নিমজ্জিত পটুয়াখালী পৌর এলাকার জুবিলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ রোড, লতিফ স্কুল রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, পুরান বাজার, কাঠপট্টি, স্বর্ণকার পট্টি এলাকা ও নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু রাস্তাঘাট।

দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১০ হাজার জিও ব্যাগ ও লোকবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত ওষুধসহ শতাধিক মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবা সুখি জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে সোমবার বিকেল থেকেই দমকা হওয়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাটার মধ্যেও প্রবল ঢেউ দেখা যায়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জোয়ারের সময় অমাবস্যার প্রভাবে পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেশি থাকার কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সেটা ৮ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা হারুনর রশীদ।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা সজিব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার ৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। সেগুলো পূর্ণ হলেই শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ শুরু হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সেবা চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেলায় ২৯০টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.