Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে কে এই কিশোরী?

‘নিঃসন্তান’ বাবা-মায়ের খোঁজে হাপাতালে!

0

প্রতিবেদক :
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অসংলগ্ন অবস্থায় ঘোরাফেরা করছিল কিশোরী স্মৃতি (১৪)। এখানকার লোকজন কিশোরীটিকে তত্ত্বাবধায়কের কাছে নিয়ে যান। তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান কিশোরীর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার কাছে ৩৮টি ছবি, দুটি দামি ফটো অ্যালবাম ও দুটি ডায়েরি রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটিকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে স্মৃতি জানিয়েছে, তার পিতার নাম মৃত শাহিন। বাড়ি যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে। স্মৃতি জানায়, মা কোথায় আছে সেটা সে জানে না। এক বছর আগে তার পিতা মারা গেছে। চাচাতো বোনের সহায়তায় সে বরিশালের একটি এতিমখানায় থাকতো। ২-৩ মাস পর পর চাচাত বোন রিপা তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যেত। কয়েকদিন থাকার পর আবার এতিমখানায় রেখে আসতো। বোন রিপা তাকে আর দেখভাল করতে পারবে না বলে ২৪ অক্টোবর দিনগত রাতে স্মৃতিকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বরিশালের চৌরাস্তা থেকে যশোরের বাসে তুলে দেয়। এ সময় বোন বলে দেয় যশোরে তিনতলা একটি এতিমখানার সামনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেখানে নিঃসন্তান দম্পতিরা বাচ্চাদের কিনতে আসে। সে গেলে তাকেও কিনে নিয়ে যাবে।

নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজে বরিশাল থেকে যশোর আসে বলে দাবি করেছে স্মৃতি, ছবি : কপোতাক্ষ

স্মৃতি জানায়, চাচাতো বোন রিপা ছাড়া তাকে দেখভালের কেউ নেই। সেই বোনও তাকে আর দেখভাল করবে না। চাচাতো বোনের পরামর্শে নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজে বরিশাল থেকে যশোর এসেছি। কিন্তু এখানকার লোকজন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে আসে। তখন তারা আমাকে পুলিশের কাছে তুলে দেন।

হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিসার রুবেল হাওলাদার জানান, কিশোরী স্মৃতিকে লোকজন তার অফিসে নিয়ে আসে। এ সময় সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে তাকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, স্মৃতি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় কোনো বখাটের খপ্পরে পড়ে সে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কিশোরীর নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, স্মৃতি নামে এক কিশোরীকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের জিম্মায় আছে। ঘটনার অনুসন্ধান চলছে।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.