Take a fresh look at your lifestyle.

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি : প্রধানমন্ত্রী

0

 

ডেক্স নিউজ
রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল বলে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে, গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটা মানুষের কাজেই লাগছে। আমাদের আমদানিতে ব্যবহার করছি। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও আটটি জাহাজের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, এখন পর্যন্ত ২০৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে এসেছে এবং এর মাধ্যমে ৬১৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। চ্যানেলের যে গভীরতা ৬.৩ মিটার তা ধরে রাখার জন্য ড্রেজিং সম্পন্ন করা হয়েছে। যা এখনও স্থিতিশীল আছে। পায়রা বন্দরের সক্ষমতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বর্তমানে এই চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ হাতে নিয়েছি। যা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রেজিং কাজ। এর ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং কমবেশি ১০.৫ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হবে।

বেলজিয়াম সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা পাশে দাঁড়িয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজে তারা আমাদের সহযোগী। আমি মনে করি, পায়রা বন্দরে প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। সেজন্য নিজস্ব ড্রেজার সংগ্রহ করতে হবে। প্রত্যেক বন্দরের জন্য আলাদা আলাদা নিজস্ব ড্রেজারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের মোংলা বন্দরেও নিজস্ব ড্রেজার ছিল না।

তিনি আরো বলেন, এই নদী ড্রেজার হয়ে গেলে আমরা একেবারে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যাবো। পাশাপাশি আসাম ও ভুটান পর্যন্ত নৌপথ চালু করা যাবে। ছয়লেন সংযোগ সড়ক, আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছি, বন্দরের আটটি জাহাজের মধ্যে সাতটি জাহাজ আমাদের দেশে তৈরি। পায়রা বন্দরের টার্মিনালের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ এই টার্মিনালে ২০০ মিটার তিনটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। শিগগিরই ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, এরইমধ্যে রেল যোগাযোগ যেন হয় সেই সমীক্ষাও চলছে। যদিও এতো নদীর কারণে এখানকার মাটিতে রেল করা অত্যন্ত কষ্টকর। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনায় আছে যে, ঢাকার সঙ্গে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলসেতু চালু করব। আমি নৌপথকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেই। নৌপথ সবচেয়ে অল্প খরচে করা যাবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল, নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.