Take a fresh look at your lifestyle.

উসকানিমূলক প্রশ্নপত্রের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে

এইচএসসি পরীক্ষা

0

প্রতিবেদক :
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় ধর্মীয় উসকানিমূলক বাংলা প্রশ্নপত্র প্রণয়নের বিষয়ে তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তদন্তের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিতর্কিত প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর কলেজ পরিদর্শক কেএম রাব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুজন ছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ও উপ কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন ঘোষ।

প্রশ্নটি প্রণয়ন করেছিলেন প্রশান্ত কুমার পাল। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সাথে জড়িত চার মডারেটরকেও শনাক্ত করা হয়। তাদের শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৬ নভেম্বর বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের দেয়া প্রশ্নের ৪র্থ পৃষ্ঠার ১১ নম্বর প্রশ্নে এমন বিষয় বেছে নেওয়া হয়, যা ছিল খুবই সংবেদনশীল। এতে সাম্প্রদায়িক উসকানি আছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও লেখালেখির পাশাপাশি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের খুঁজে বের করার কাজে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসান হাবিব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাহক মারফত তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডিজি ও সচিব মহোদয়কে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য করাটা শোভন হয় না।’

তদন্ত কমিটির প্রধান কলেজ পরিদর্শক কেএম রাব্বানী জানান, আমরা অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি।

এ ঘটনায় দোষী শিক্ষকদের কী শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও বাতিল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লঘু ও গুরু যেকোনো শাস্তি হতে পারে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। প্রশ্নপত্রটি পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.