Take a fresh look at your lifestyle.

কেশবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ‘লাঞ্চিত’, থানায় জিডি

0

প্রতিবেদক :
যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামকে লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। আজ হস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা কম্পাউন্ডের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ কমাউন্ড থেকে গাড়িতে ওঠার সময় অতর্কিতে পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক টিটুর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন তাকে অপমান ও নানারকম হুমকি প্রদান করেছেন। প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার ছেলেদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে দ্বিতীয়তলা থেকে ইউএনও নিচে নেমে এসে নিবৃত করেন।

থানায় দায়ের করা জিডিতে অভিযুক্তরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর সিদ্দিক টিটু (৪০), মধ্যকুল গ্রামের রাজিব খান (৩৫), জামাল হোসেন ও শামীম হোসেন, ভোগতী গ্রামের আরিফ হোসেন (৩৫), আলতাপোল গ্রামের ইকরামুল (৩৫), শামিম (২৫), বায়সা গ্রামের মাসুদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।

থানায় দায়ের করা জিডি, ছবি : কপোতাক্ষ

কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম (৭৬) সাংবাদিকদের বলেন, আলমগীর সিদ্দিক টিটুর মা জামায়াতের সক্রিয় একজন নারী কর্মী। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আদালতে বিচারাধীন। তবে, একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিজয়ের মাসের প্রথমদিনেই আমাকে যে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও হুমকি দিলো, সেটা কল্পানাতীত। তিনি আরও বলেন, গোটা কেশবপুর একটা চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে, আমরা প্রতিবাদের চেষ্টা শুরু করেছি। যার কারণেই গাত্রদাহ তাদের।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর সিদ্দিক টিটু বলেন, তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) আমার মাকে নিয়ে বিভিন্ন সভায় নানারকম মন্তব্য করেছেন। আমি সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে তার সাথে শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.