Take a fresh look at your lifestyle.

মেহেরপুরে এক নার্সারিতেই মাসে ৩ লাখ সবজির চারা উৎপাদন

0

মেহেরপুর প্রতিনিধি :
বারোমাসী সবজির চারা উৎপাদনের নার্সারি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মেহেরপুর জেলা শহরের উপকন্ঠে ময়ামারি সড়কে। গত একবছরে নার্সারিটি ২৫ লাখ চারা বিক্রি করেছে। ১০০ শতক জমির ওপর ‘ম্যাক্সিম এগ্রো’ নামের নার্সারিটি প্রতিষ্ঠার পর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বারোমাসী সবজির চারা উৎপাদন করছে। প্রতিমাসে তিনলাখ চারা উৎপাদন সক্ষম এই নার্সারি থেকে মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকেরা চারা কিনতে আসেন।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে সবজির চারা নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চলছে। জেলা শহরের মায়ামারি সড়কে ট্রে পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজির চারা উৎপাদনে পুরো নার্সারি নেট দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বীজ বপন শুরু হয়। ২৫ থেকে ৩০ দিন পর চারা বিক্রির উপযোগী হয়। এখান থেকে সুলভমূল্যে চারা কিনে জমিতে রোপনের পর ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। অন্যদিকে নার্সারি মালিকও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেপে, বেগুন, মিষ্টি লাউ, কররাসহ বিভিন্ন ধরনের বীজ থেকে চারা এখানে উৎপাদন হচ্ছে।

নার্সারির ম্যানেজার রাসেল হোসেন জানান, নার্সারির বৈশিষ্ট্য হলো, চারা তৈরি ও সবজি চাষে কোনোপ্রকার বিষ প্রয়োগ করা হয় না। এখানে গাছের উর্বরাশক্তি বৃদ্ধিতে কম্পোস্ট সার, গোবর ও পোকা দমনে ব্যবহার করা হয় সেক্স ফেরোমন ফাঁদ।

ম্যাক্সিম এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা ও যশোরের পরে এই প্রথম মেহেরপুরে সবজি চারা উৎপাদন করছেন। মেহেরপুর জেলা কৃষিনির্ভর হওয়ার কারণে কৃষকের হাতের নাগালে চারা পাওয়ার সুবিধা দিতেই মেহেরপুরে চারা উৎপাদন ফার্ম দিয়েছেন। মেহেরপুরে উৎপাদিত চারা অন্য জেলাতেও সরবরাহ করছেন।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.