প্রতিবেদক :
‘সম্প্রতির বাংলাদেশ; সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ’ শ্লোগানে আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসব উদ্বোধন করেন।
বিজয়ের ৫১ উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সাথে ৫১ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ৫১টি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবনী সংগীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশন করেন।
উদ্বোধনকালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যশোর এক গৌরবময় উজ্জল জেলা। এ জেলার ভূমিকা ইতিহাস সমৃদ্ধ।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছিল সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও শকুনের চক্ষু দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ধংস করার জন্য নানাপ্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শপথ নিতে হবে সকলপ্রকার চক্রান্ত এবং ঐ সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে লড়াই করার। আজকের এই চমৎকার দিনে আমি আশা করি স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না। যশোরের সাংস্কৃতিক জোট স্বাধীনতার পক্ষে যে চমৎকার ভূমিকা নেয়; সেটা প্রশংসিত। যশোরের যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ইতিহাস তারা যে ধারণ করে যাচ্ছে সেটা আসলেই নতুন প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে বারংবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, ডেপুটি প্রধান রবিউল আলম, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস প্রমুখ।
এরপর যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন। একের পর এক দলীয় ও একক গান ও নৃত্যের মুদ্রায় মুগ্ধতা ছুঁয়ে দেয় দর্শকদের।