Take a fresh look at your lifestyle.

রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৭ জনের নামে হত্যামামলা গ্রহণের নির্দেশ

যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খুন

0

প্রতিবেদক :
যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ওেেফ বুনো আসাদ হত্যার ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ‘হত্যামামলা’ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল এক আদেশে কোতয়ালি থানার ওসিকে এ নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন : যশোর শহরের বেজপাড়া মাঠপাড়া এলাকার মো. কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবাড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, শহরের রায়পাড়া এলাকার বিপ্লব, বেজপাড়া এলাকার লিপন ওরফে বস্তা লিপন, আয়ুব আলীর ছেলে সুমন, শহরের বেজপাড়া বনানী রোড এলাকার বিশ্বজিৎ মুখার্জির ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জি ওরফে উৎপল মুখার্জি ওরফে কানাই লাল কানু।

বৃহস্পতিবার বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেন, যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোড এলাকার বিশ্বজিৎ মুখার্জির ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জি ওরফে উৎপল মুখার্জি ওরফে কানাই লাল কানুর ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন ভিকটিম আসাদুজ্জামান আসাদ। আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পর আসামি ইন্দ্রজিত মুখার্জি ক্ষুব্ধ হয়ে বাকি আসামিদের দিয়ে ভিকটিমকে হত্যাচেষ্টা করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রথমে ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাপ্রচেষ্টা মামলা হয়। আদালত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা গ্রহণের জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৮ নভেম্বর যশোর শহরের বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নুরুন্নাহার হোমিও হল নাম ঔষধের দোকানের সামনে ওষুধ কিনতে যান আসাদুজ্জামান আসাদ। পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা বার্মিজ চাকু দিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদের বুকের পাজরের ডানপাশে জখম করে। মাটিতে পড়ে গেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরদিন (৯ নভেম্বর) আদালতে ৪ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। পরবতীতে ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়। ভিকটিমের সঙ্গে সাত নম্বর আসামি ইন্দ্রজিত মুখার্জির সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল। তার ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন। একইসাথে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত ইন্দ্রজিত মুখার্জির দুর্নীতি তদন্তে করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। ওই আবেদন প্রত্যাহার করার জন্য আসাদুজ্জামান আসাদকে চাপ প্রয়োগ করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় খুনের পরিকল্পনা করেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাকি আসামিরা আসাদুজ্জামান আসাদকে খুন করেছেন।

নিহত আসাদুজ্জামান আসাদ যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের আহম্মদ আলী মিয়ার ছেলে। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ছিলেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.