Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে, অনুমতি ছাড়াই অপারেশন, নবজাতকের মৃত্যু

0

প্রতিবেদক :
যশোরের অভয়নগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মৃত নবজাতকের বাবা এসএম সোহাগ হোসেন (মামুন) বাদী হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ কর্তব্যরত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ন্যায়বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মো. ফিরোজ সরদারের ছেলে এসএম সোহাগ হোসেন অভিযোগে জানান, গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলে নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ভর্তি করতে বলেন। ভর্তি করার পর তিনি তিন ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন।

নবজাতক হত্যার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

– মেজবাহ উদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অভয়নগর

তিনি আরও বলেন, এরপর অনুমতি ছাড়াই তারা তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। কিছু সময় পর ম্যানেজার তরিকুল বলেন রোগীর অবস্থা খারাপ, দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরই মাঝে জানতে পারি আমার সন্তান মারা গেছে এবং স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেদিন দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে আইসিইউতে ভর্তি করেন। পরে ডাক্তাররা জানান, ভুল অপারেশনের কারণে নবজাতকের মৃত্যু এবং রোগীর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে।

এসএম সোহাগ হোসেন ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং ম্যানেজার তরিকুল ইসলামের বিচার দাবি করে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ফাতেমা (প্রা.) হাসপাতালের ম্যানেজার মো. তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তহমিনা বেগম নামের রোগী ভর্তির সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। তবে রোগীকে ওটিতে নেওয়ার আগে বিভাগদী গ্রামের হামিদ সরদারের ছেলে ওয়াশিম অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, নবজাতক হত্যার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.