প্রতিবেদক :
পুত্র শিমুল হোসেনের বিয়োগের শোক সইতে না পেরে পিতা হাশেম আলীও না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। একইসাথে পিতা-পুত্রের না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ভেকুটিয়া গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এমন হৃদয়স্পর্শী খবরে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পিতা হাতেম আলীর পুত্র শিমুল হোসেন যশোর শহরের একটি ওয়ার্কশপের শ্রমিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ভেকুটিয়া গ্রামের শেখাপাড়ার নিজ বাড়িতে পিতা-পুত্রসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা খোশগল্পে মেতে ছিলেন। তাদের সেই হাসি আনন্দের গল্পে হঠাৎ বিশাদের কালো ছাঁয়া নেমে আসে। প্রথমে পুত্র শিমুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে পিতা পাশে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যান। এর মধ্যে পরিবাররের অন্য সদস্যরা শিমুল হোসেনকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পিতা হাতেম আলী এ খবর শুনে বাইসাইকেলযোগে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে সুজলপুর আকবর মিয়ার রড ফ্যাক্টরির সামনে আসলে পিতার কানে খবর আসে পুত্র শিমুল হোসেন আর নেই। এমন খবর শোনা মাত্রই পিতা হাতেম আলী ওই স্থানেই মারা যান। এ খবরে গোটা এলাকাবাসী শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। সকলকে একনজর শেষবারের মতো দেখতে ছুটে যান তাদের বাসভবনে। শোকাবহ পরিবেশে রাতেই পিতা-পুত্রকে একসাথে দাফন করা হয়।
আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে শাহারুল ইসলাম মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে বলেন, হাসি আনন্দের গল্পে হঠাৎ বিশাদের কালো ছাঁয়া নেমে এসেছে পরিবারে। এমন হৃদয়স্পর্শী খবরে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাতে পিতা-পুত্রের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।