Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর নির্যাতনে পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রী হাসপাতালে

0

প্রতিবেদক :
যশোরে পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় স্ত্রী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাজাদী আক্তারকে (৪০) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার রাতে যশোর শহরের খড়কি এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাজাদী আক্তার যশোর সদর কোর্ট জিআরও’তে এবং স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ পিবিআই’য়ে কর্মরত।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এসআই শাহাজাদী আক্তার অভিযোগ করেন, কামরুজ্জামানের সাথে ২০০০ সালে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কামরুজ্জামান মাঝেমধ্যেই তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। এ কারণে তিনি যৌতুক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। ছুটিতে বাড়ি এসে কামরুজ্জামান ঐ মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। এছাড়া কামরুজ্জামান পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তিন বছর আগে দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন দাবি করে শাহজাদী আক্তার বলেন, ঐ ঘটনার পর তার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে।

শাহজাহী আক্তার দাবি করেন, যৌতুকের মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার রাতে কামরুজ্জামান ছুরি দিয়ে তাকে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। ঠেকাতে গেলে মাথায়, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং মেঝেতে ফেলে ব্যাপক নির্যাতন চালান। ছেলেরা তাকে রক্ষা করেন। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এসআই শাহাজাদীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এসআই শাহাজাদীকে নির্যাতনের বিষয়ে তারা এখনও কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি ‘ডিপার্টমেন্টাল’। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়টি দেখছেন।
এদিকে, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান। তিনি দাবি করেছেন, যে সময় এই ঘটনা দাবি করা হচ্ছে, তখন তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। তার অনৈক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধ নিতে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে।

যৌতুকের মামলা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ধরনের কোনো মামলার খবর তার কাছে ছিল না। এই ঘটনার পর তিনি জানতে পেরেছেন। আর নিজের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.