‘যশোরে এরফান পরিকল্পিত ও কন্ট্র্যাক্ট কিলিংয়ের শিকার’
র্যাবের হাতে জড়িত এক সন্ত্রাসী আটক
প্রতিবেদক :
যশোরে আলোচিত হত্যাকান্ডের শিকার এরফান ‘পরিকল্পিত ও কন্ট্র্যাক্ট কিলিংয়ের’ শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে র্যাব। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যতম আসামি তাওহীদকে গ্রেফতার করেছে তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তওহীদ বিষয়টি স্বীকার করেছে। গ্রেফতার মো. তাওহীদ যশোর শহরের বেজপাড়া কবরস্থানের পাশের মোহাম্মদ শাহীনের ছেলে। রোববার মধ্যরাতে যশোরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে যশোর শহরের খড়কি ধোপাপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলামের ছেলে এরফান হোসেনকে (২৮) তিনজন সন্ত্রাসী হঠাৎ আক্রমণ করে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোরের গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহকিতায় রোববার মধ্যরাতে র্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর মুদি দোকানি এরফান হত্যা মামলার একজন পলাতক আসামি যশোরের নিউমার্কেট এলাকায় আত্মগোপনে আছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাওহীদকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি তাওহীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রাথমিকভাবে সে র্যাবকে জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেসহ আরও ৪-৫ জন মিলে মুদি দোকানি এরফানকে হত্যা করেছে।
তবে এই হত্যাকান্ডটির মূল কন্ট্র্যাক্ট ছিল রায়পাড়া এলাকার সন্ত্রাসী পাখির। পাখির নেতৃত্বে অন্য সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এরফানকে হত্যা করেছে বলে র্যাব প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান আরও জানিয়েছেন, এই হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক সন্ত্রাসী পাখিসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দাতা, মদদদাতাদের পরিচয়ও জানা গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।