মেহেরপুরে লাঠিখেলা প্রতিযোগিতা
প্রতিনিধি মেহেরপুর : গ্রামবাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা লাঠিখেলা। কালের বিবর্তনে নতুন প্রজন্মের কাছে সোকজ সংস্কৃতির লাঠিখেলা পৃষ্টপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। মেহেরপুরের গ্রাম গঞ্জে সখের বশে এখনও ধরে রাখা হয়েছে খেলাটি। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম চরগোয়াল গ্রাম দির্ঘবছর ধরে গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা ধরে রেখেছে। গ্রামটিতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় লাঠিখেলার প্রতিযোগিতা। শনিবার বিকেলে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে কুস্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার প্রতিজেলার চারটি করে দল মোট ১৬টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। শত শত নারী পুরুষ খেলা উপভোগ করে। ঢাক ঢোল, আর জুড়ির বাদ্যের তালে তালে লাঠি চালানোর কলাকৌশল প্রদর্শন করেন লাঠিয়ালরা। লাঠি দিয়ে নিজেকে, নিজের সম্পদ রক্ষাসহ শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশলও প্রদর্শিত হয় এ খেলায়।
খেলায় মেহেরপুরের কাজিপুরদল প্রথম, দেবিপুর ২য় এবং কুস্টিয়ার চৌধুরী লাঠিয়াল দল ৩য় স্থান অধিকার করে। খেলা শেষে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ।
লাঠিয়ালরা জানান- এই খেলা জানা থাকলে জীবনে নানান প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেঁচে আসা যায়। যেমন চিন দেশে কারাতে। তেমনি আমাদের লাঠিখেলা।