মেহেরপুরের গাংনীর দুর্ভোগের কারণ রাস্তাটি
মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনীতে ৫ কিলোমিটার রাস্তা পুননির্মাণ শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হবার কথা আগামী ফেব্রæয়ারি মাসে। সাড়ে তিন কোটি টাকার এই কাজের নির্মাণ সামগ্রির মূল্যবৃদ্ধির কারণে একবছর সময়েও কার্পেটিং কাজ না করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে যান চলাচলের সময় রাস্তার ধুলোবালি রাস্তার দু’পাশের বাসিন্দা ও পথচারীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম রয়েছে কার্পেটিং না হওয়া পর্যন্ত পথচারী যাতে দুর্ভোগে না পড়ে এজন্য প্রতিদিন পানি ছিটিয়ে ধুলো বসিয়ে রাখার। কিন্তু ঠিকাদার সে নিয়ম উপেক্ষা করছেন। রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মালবাহি যান চলাচলের সময় পথচারীরা দৌড়ে রাস্তা থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন। কারণ যান চলাচলের সময় ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে পথ। দীর্ঘসময় কিছুই চোখে দেখা যায়না। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী থেকে কাজিপুর সড়কটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজ। উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে যোগাযোগ করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে।
ধুলোবালির কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা করছে মানুষ। ধুলোয় রাস্তার দু’পাশের গাছপালা ও ঘরবাড়ি ইটের রঙ ধারণ করেছে। এই ৫ কিলোমিটার পথে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে। বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের স্কুলের পাশের সড়কে ইটের খোয়া দেয়া হলেও কার্পেটিং হয়নি। যার ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতু খাতুন জানান, রাস্তার ধুলোবালির কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়। স্কুলড্রেস নোংরা হয়ে যায় ধুলোবালিতে।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও বালিয়াঘাট গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, ধুলোবালির কারণে অ্যাজমা রোগিদের কষ্টের শেষ নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সৈকত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজকে বার বার বলা হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রির দাম বৃদ্ধির কারণে লোকসান নিশ্চিত জেনেই কাজ অসমাপ্ত রেখেছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।