Take a fresh look at your lifestyle.

অভয়নগরের বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার কৃষকদের

0

শাহিন হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি :
বোরো ধান রোপনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভয়নগরের চাষিরা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরোর জমি তৈরি ও ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউবা জমিতে হালচাষ দিচ্ছেন, কেউবা ধানের চারা রোপন করছেন। আবার যারা আগাম চারা রোপন করেছেন, তারা সেই জমিতে সেচ দিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, গত বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। সেইসাথে বাজারে ধানের ভালো দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় চাষিরা। তবে এবার সকল হতাশা কাটিয়ে আবারও বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চলিশিয়া, সুন্দলী, বাঘুটিয়া শ্রীধরপুর, পায়রা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বোরো ধান রোপন করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলার কোটা গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মো. রেজোয়ান হোসেন, তরিকুল ইসলাম জানান, আমন ঘরে তোলার পর তীব্র শীত উপেক্ষা করে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। বোরো ধান চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দু’মাসে বোরো জমিতে ধানের চারা রোপন করতে হয়। চারা রোপনের সময় শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা তাদের দমাতে পারেনা। তিনি এবার ৩ একর জমি চাষাবাদ করবেন এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। গ্রামতলার শাহ আলম এবার ৪ বিঘা নিজস্ব ও ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান রোপন করেছেন। ফলন ভালো হলে লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে, যা গতবছরের তুলনায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর বেশি। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। ধানের মূল্য বেশি ও ভবদহ জলাবদ্ধতা না থাকায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.