Take a fresh look at your lifestyle.

অভয়নগরে ফলের বাজার চড়া

0

অভয়নগর প্রতিনিধি :
অভয়নগরে ফলের বাজারে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাজার মনিটরিংয়ে উদাসহীনতায় পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে নিম্নআয়ের মানুষের স্বাদ থাকলেও ফল কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই।

মৌসুমী সব ধরনের ফল পাওয়া যায় এ বাজারে। ভারতীয় সবধরনের ফলের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আমদানিকৃত নানাধরনের ফল পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলের সমাহারও রয়েছে। নওয়াপাড়া বাজার, নুরবাগ বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, ক্লিনিকপাড়া বাজার, হাসপাতাল মোড়, আকিজ সিটিসহ উপজেলার প্রত্যেকটা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে ফলের দাম আগুন। প্রিয় ফল আপেল ৩শ’, সাদা আঙ্গুর ৩শ’ থেকে ৪শ’, কমলা ২৫০ থেকে ৩শ’, খেজুর ৪শ’ থেকে ৫শ’, আনার ফল ৩৫০ থেকে ৪শ’, কালো আঙ্গুর ৫শ’ থেকে ৫৫০, নাশপাতি ৩৫০ থেকে ৪শ’, বেদানা ৫শ’ থেকে ৬শ’, লটকন ফল ১৫০ থেকে ২শ’, আপেল কুল ১৫০ থেকে ২শ’, ড্রাগন ফল ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবেদা ফল হালি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পাকা পেঁপে ও বেল আকার ভেদে ৬০ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

মৌসুমী সব ফল পাওয়া গেলেও দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, ছবি : কপোতাক্ষ

সুমন সরদার, টুটুল গাজী, রাজু আহমেদ, হাফিজুর রহমান, রিমা বেগম, বাবর আলী বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে নওয়াপাড়ায় ফলের বাজার উর্ধ্বমুখি হওয়ায় পরিবারের ও রোগিদের জন্য ফল কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ভ্যানচালক ইকরামুল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার জন্য দুটো মালটা কিনতে এসে ওজন দিতেই ১০৮ টাকা দাম হওয়ায় না কিনেই ফিরে আসতে হলো। চাকরিজীবি আক্তার খান বলেন, ড্রাগন ফল গত সপ্তাহে দাম ছিল ২৫০ টাকা এখন। কিনতে এসে দেখি ৩৪০ টাকা। এভাবেই ফলের দাম বাড়তে থাকলে পরিবারের সদস্যদের ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। অস্থির ফলের বাজারসহ সবধরনের নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য বেশি বেশি বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মৌসুমী সব ফল পাওয়া গেলেও দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, ছবি : কপোতাক্ষ

ফল ব্যবসায়ী মুজিবর ও আসাদুল বলেন, গতকাল যা ১০ টাকায় কিনেছি, আজ তা ১৫ থেকে ১৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এরকম প্রতিটা ফলের মূল্য দিন গেলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে আমাদের যেমন কেনা তেমন বেচা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর জানান, ফল ব্যবসায়ীরা ফলের দাম বেশি রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.