Take a fresh look at your lifestyle.

মেহেরপুর গড় পুকুরে হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র

ব্যয় সাড়ে ১১ কোটি টাকা

0

দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর :
১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ বিঘার মেহেরপুর পৌর গড় পুকুরকে বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিনোদন কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে ঐতিহাসিক গড় পুকুর হবে জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এই গড় পুকুর মেহেরপুর পৌরসভা তথা জেলার ঐতিহ্য।

এর আগে সাবেক পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ২০০৮ সালে গড় পুকুরে কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাবলকারসহ নাগরদোলা স্থাপন করে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। সে সময় গণমানুষের আপত্তির মুখে গড় পুকুর পাড়ে মাছের আড়ৎ নির্মাণে পরিবেশ দুষিত হয়। ক্যাবলকার পুকুরের মাঝখানে বন্ধ হয়ে শিশুরা আটকে যাওয়া এবং নাগরদোলা মানসম্মত না হওয়ায় মানুষ বিমুখ হয়। বন্ধ হয়ে যায় সেসব। বর্তমান মেয়র জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন নির্বাচনী প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন গড় পুকুরকে ঘিরে পৌরবাসীর জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। সেই প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে। প্রাক্কলিত মূল্য ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বগুড়ার মেসার্স মাসুমা বেগম এন্টারপ্রাইজ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। আগামী মাসের মধ্যে কাজ দৃশ্যমান হলেও জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিলন আশা প্রকাশ করছেন।

মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, বিভিন্ন কারণে গড় পুকুরকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ এতদিন আটকে ছিল। বিভিন্ন দেশের পুকুর ও নদীভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র দেখে নক্সা করা হয়েছে। এটি নির্মাণ হলে খুলনা বিভাগে হবে ব্যতিক্রম বিনোদন কেন্দ্র। শিশুদের সামাজিকীকরণে বিনোদন বড়ই প্রভাব ফেলে। আমাদের শিশুদের ভাবনার সীমাবদ্ধতাকে দুর করতেই গড় পুকুরকে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্র গড়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রতি দিয়েছিলাম।

তিনি আরও জানান, গড় পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনে ঢাল সুরক্ষা বেস্টনি, থাকবে গণমানুষের জন্য দুটি পাবলিক টয়লেট, নিরাপত্তারক্ষীর কামরা, শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা, পুরো গড় এলাকা হবে সবুজ বেষ্টনি, পুকুরের চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে, পুকুরের দক্ষিণদিকে থাকবে নাট্যমঞ্চ, থাকবে চারদিক জুড়ে কংক্রিট বেঞ্চ, দুটি ফুড কর্ণার, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা চেঞ্জিং রুম, দুটো কফি হাউজ, গড়ের মাঝে ওভারব্রিজ। পুরো পুকুর জুড়ে থাকবে ৭টি সিঁড়ি, গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা, শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের রাইড, টিকিট কাউন্টার ইত্যাদি।

মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুবুল হক মন্টু জানান, গড় পুকুরকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র নির্মিত হলে গড়পুকুর, মুজিবনগর স্মৃতি প্রকল্প, আমঝুপি কুঠিবাড়ি, নিগমানন্দ আশ্রম ও ভাটপাড়া কুঠিবাড়ি নিয়ে আন্তজেলা পর্যটন জোন গড়ে তুলতে হবে।

জেলা শহরের আরেক সংস্কৃতিজন শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু জানান, বিনোদন আমাদের জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। জেলা শহরে নেই কোনো শিশুপার্ক। এই বিনোদন কেন্দ্র নির্মিত হলে আমাদের শিশুরা পাবে প্রশান্তির ছায়া।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.