Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরের বহিষ্কৃত ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৫ নেতা শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা পেলেন

0

প্রতিবেদক :

যশোরে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া ৪ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৫ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকে ক্ষমা করলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি জানান, সবারই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কেউই সাংগঠনিক স্বপদে ফিরতে পারছেন না। সদস্য হিসেবেই তাদের শুরু করতে হবে।

ক্ষমা পাওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন : যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ন কবির তুহিন, দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আনিচুর রহমান, চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীম রেজা, রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান লাইফ, চুড়ামনকাঠি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন। এর আগে বিদ্রোহী নেতারা ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলেন।

২০২২ সালের পঞ্চম ধাপের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে যশোর সদরে ১৫টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থীদের নিজ দলেরই ৩৯ বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে ১১ ইউনিয়নে মাঠে নেমেছিলেন বিএনপির ১৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ইন্ধনদাতা ২৫ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ ও ২০২২ সালের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯২টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর একটি মণিরামপুরের হরিহরনগর ইউপিতে এখনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ৫টি ধাপে শেষ হওয়া ঐ নির্বাচনে জেলার ৮ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আড়াই শতাধিক আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০৭ জন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। সদরে ২৮ জন, মণিরামপুরে ১৭ জন, বাঘারপাড়ায় ১৪ জন, শার্শায় ১৫ জন, চৌগাছায় ১৩ জন, ঝিকরগাছায় ৯ জন, কেশবপুরে ১০ জন ও অভয়নগরে একজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত প্রার্থীরা বেশিরভাগই স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুসারি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.