যশোর আইটি পার্ক হোটেল এন্ড রিসোর্ট চালু নিয়ে মিট দ্যা প্রেস
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রিসোর্ট চালু
প্রতিবেদক :
বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে রিসোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এক ভবনে সব সার্ভিস দিতে মূলত যশোর আইটি পার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট চালু করা হয়েছে। আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাব লিজ নেয়া ‘খান প্রোপার্টিজের’ চেয়ারম্যান মাসুদুর খান ‘মিট দ্যা প্রেসে’ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যশোরের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূত উন্নতি হয়েছে। দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলায় এখন অতীতের চেয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবেন। শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্কে আগে যেসব বিদেশি বিনিয়োগকারী আসতেন তারা শুধুমাত্র ডরমেটরিতে রাত্রিযাপনের সুবিধা পেতেন। এখন তিন তারকা মানের হোটেল ও ক্যাফেটেরিয়া করা হয়েছে। পার্কের অভ্যন্তরের লেকটিকেও রিসোর্টের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। মিটিং, আবাসন, ঘোরাঘুরি, নিরাপত্তা, বিনোদন সব সুবিধা পাবেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকবে। বিদেশিদের নজরে আনতে ‘যশোর আইটি পার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ করা হয়েছে।
খান প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান মাসুদুর খান বলেন, আমরা ১০ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আইটি পার্কের হোটেলকে ঘিরে রিসোর্টের সেবা দিতে সবধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নাম দেয়া হয়েছে ‘যশোর আইটি পার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’। তবে আইটি পার্কের দক্ষিণ প্রান্তের মূল ভবনে সফটওয়্যার টেকিনোলজি সংক্রান্ত কার্যক্রমের কোনো ব্যাঘাত হবে না। বরং আইটি খ্যাতের বিনিয়োগকারীরা আকর্ষিত হবেন। এ পার্কে এখন যারা ব্যবসায়ী তারা এমন উদ্যোগে খুশি।
তিনি আরও বলেন, রিসোর্টে ২৪ ঘণ্টা গ্রাহক সেবা (কাস্টমার সার্ভিস), রেস্তোরাঁ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপহারের দোকান, কফি পানের দোকান, ছবি গ্যালারি, ব্যবসায়িক সম্মেলনকেন্দ্র, নামাজের জায়গা, খেলার জায়গা, শিশুদের খেলার ব্যবস্থা, সম্মেলনকক্ষ এবং পুরুষদের জন্য সেলুন ও ব্যায়ামাগারের মতো সেবা চালু করেছে।
৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ করে। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম এই আইটি পার্ক। সরকারি নানা সুবিধার ঘোষণায় উজ্জ্বল ভবিষ্যত ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন নিয়ে এ পার্কে দেশীয় বিনোয়াগকারীরা জায়গা বরাদ্দ নেন। এরপর পেরিয়েছে পাঁচটি বছর। কিন্তু ঘোষিত সুবিধাদির অনেক কিছুই পাননি তারা। সেইসাথে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা না আসায় বিকশিত হয়নি এখানকার ব্যবসা। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া টেকসিটি সাব লিজ দিয়েছে খান প্রোপার্টিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে।