ক্ষণজন্মা পুরুষ বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করতে সামর্থ হয়েছেন : স্বপন ভট্টাচার্য্য
যশোরে দুই বাংলার চিত্র কর্মশালা ‘রিদম অব লাইফ’
প্রতিবেদক :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘২৩ বছরের শোষন বঞ্চনার মধ্যে থেকে বাঙালি জাতি কোনো ক্ষেত্রে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেনি। অনেক নেতা অনেক চেষ্টা করেছেন এই বাঙালির মুক্তির জন্য। ঐতিহাসিকভাবেই আমরা জানি নেতাজি সুভাষ বোস, মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক তারা কেউ শেষ পর্যন্ত সফল হননি। একমাত্র ক্ষণজন্মা পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করতে সামর্থ হয়েছেন। আর সেজন্যেই আজ বাঙালি চিত্রকর্মসহ সকল ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারছে।
আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারতের দুইদিনের যৌথ চিত্র কর্মশালা ‘রিদম অব লাইফ’ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি বাঙালির একটি ঐতিহাসিক মাস। ৫২-র ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের সন্তানরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে ৫৬ ভাগ বাঙালি থাকলেও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি না দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমরা রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ৫২-তে ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র স্বাধিকার, ‘৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচন এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ ্যদিয়ে আমরা একটি পরিপূর্ণ স্বাধীন দেশ অর্জন করতে পেরেছি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান ধারায় নিয়ে যায়। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। শিল্পী আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উদীচী যশোরের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু ও শিল্পী ভারতের চিত্রশিল্পী স্বপন সরকার।
আলোচনাসভা শেষে প্রদর্শনিতে অংশগ্রহণকারি ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারি ভারতীয় শিল্পীরা হলেন : রেশমি মুখার্জী, তপন কুমার দাস, শাশ^তী বোস, রণিতা দেব, পার্থ সারথী দত্ত, অলোক কুমার সরকার, শ্যামল কুমার নাথ, দেবাশিষ মাইতি, বিজয় দত্ত, নীলকান্ত মন্ডল, সর্বজিৎ রায়, মিনু দে, শেখ ইকবাল হোসেন ও স্বপন সরকার।
বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন : লাফিজা নাজনীন, ওবায়েদ জাকীর, অহিদুজ্জামান চাকলাদার মুকুট, নিখিল দাস, চঞ্চল সরকার, কৃষি গৌতম, সজল ব্যানার্জী ও রফিক উল্যাহ।
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য ফাউন্ডেশন, স্বনাধীতি ও এস্থেটিক আর্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে যশোর শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে দুইদিনের যৌথ কর্মকশালা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানভাসে তুলির আঁচড় দিয়ে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।