Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে মহিলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে দুগ্রুপের হাতাহাতি নিছকই ভুলবুঝাবুঝি!

0

প্রতিবেদক :
যশোরে মহিলা আওয়ামী লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংগঠনটি জেলা শাখার সভাপতি লাইজু জামান ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা মিলির সমর্থকদের মধ্যে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অনুষ্ঠান প্রায় আধাঘন্টা বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে একইস্থানে দুটি পক্ষই পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করে। তবে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।

দলীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটলেও দুগ্রুপের নেতারাই বলছেন ঘটনাটি ভুলবুঝাবুঝি ছিল। একইভাবে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যত দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি এবং অপরটি সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। দলের এই বিভক্তির কারণে কার্যত জেলার সকল সহযোগী সংগঠনের মতো মহিলা আওয়ামী লীগও দুটি গ্রুপে বিভক্ত। মহিলা আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন সভাপতি লাইজু জামান এবং অন্যটির সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা মিলি। লাইজু কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী ও মিলি শাহীন চাকলাদারের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।

মহিলা আওয়ামী লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই নানা কর্মসূচি হাতে নেয় যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। দলের দ্বন্দ্ব-বিভক্তির কারণে দুটি গ্রুপই সকাল থেকেই যার যার অনুসারীদের নিয়ে শোভাযাত্রা ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানান পৃথকভাবে। দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও কেক কাটার কর্মসূচি ছিল। অনুষ্ঠান শুরু আগে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন সভাপতি লাইজু জামান। এরপরই অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত হন সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা মিলি। এর আগেই লাইজুর নেতাকর্মীরা সামনের সারির চেয়ারগুলোতে বসে পড়েন। পরবর্তীতে মিলির নেতাকর্মীরা এসে সিনিয়র-জুনিয়র অনুযায়ী বসার নির্দেশনা দিলে দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এসময় একে অন্যকে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উপস্থিত পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করলেও অনুষ্ঠান আর একসাথে সম্পন্ন হয়নি।

পরবর্তীতে দুটি পক্ষই দলীয় কার্যালয়ে পৃথকভাবে কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে। তবে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভা আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিজেদের মধ্যে এমন ঘটনা আসলেই বলতে ভালো লাগে না। আমার মেয়েরা আগে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিল। সভাপতি এসে তাদের উঠিয়ে দেয়। উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি উত্তেজিত হয়ে যায় এবং ওখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, এটি সম্ভবত সভাপতির পূর্বপরিকল্পনা ছিল। সেটা না হলে সংগঠনের আয়োজনে কেক রাখা থাকলেও অনুষ্ঠানে আলাদা কেক কেন তিনি আনবেন।

সভাপতি লাইজু জামান বলেন, তেমন বড় কিছু ঘটনা ঘটেনি। মেয়েদের বসাবসি নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হলেও পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে যাবে।

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.