Take a fresh look at your lifestyle.

উদীচী ট্রাজেডির দুই যুগের বিচারহীনতা রাষ্ট্রের দুর্বলতা

0

প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২৪ বছরের বিচারহীতার প্রতিবাদে যশোরে মুক্ত আলোচনা হয়েছে। আজ রবিবার (৪ মার্চ) বিকালে উদীচী যশোর জেলা সংসদ মিলনায়তনে এই সভা করা হয়। সভায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ৬ মার্চ যশোর হত্যাকান্ড দিবস পালন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আফফান ভিক্টর।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, উদীচী হামলার বিচার করতে না পারা রাষ্ট্রের একটি দুর্বলতা। সেই দুর্বলতার সুযোগেই জঙ্গীগোষ্ঠীগুলো তাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উদাসীনতাই বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে হলি আর্টিজানের মতো ভয়ানক পরিণতির দিকে। আমরা মনে করি, উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা ছিল দেশি-বিদেশি জঙ্গীগোষ্ঠীর এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সূচনামাত্র। শুরুতেই যদি উদীচী ট্রাজেডি তথা যশোর হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের স্বরুপ উন্মোচন করা যেত তাহলে পরবর্তী ঘটনা হয়তো ঘটতো না।

দুই যুগেও হয় না বিচার! এই লজ্জা ও অপমান কার?- এই শ্লোগানে ৪ মার্চ থেকে তিনদিনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

যশোর উদীচীর সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক ইয়াকুব আলী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, নাট্য সংগঠন বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, যশোরের সভাপতি শ্রাবণী সুর, সাংবাদিক সাজেদ রহমান, শিকদার খালিদ, মনিরুল ইসলাম ও প্রণব দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান।

সোমবার বিকালে যশোর টাউন হল মাঠে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সন্ধ্যায় প্রতিবাদী মিছিল, আলোচনা ও মশাল প্রজ্জ্বলন করা হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে উদীচীর শিল্পী ও সাংস্কৃতিকর্মীরা আসবেন।

১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে শক্তিশালী বোমা হামলা চালানো হয়। বোমার আঘাতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত ও ২৫০ জনের বেশি নিরীহ মানুষ আহত হন। যশোরে উদীচীর এই বোমা হামলার মধ্যদিয়ে দেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়। নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও মামলাটি হিমঘরেই রয়ে গেছে। ঘাতকদের শাস্তি হয়নি। এমনকি জড়িতদের বিচারের মুখোমুখিও দাঁড় করানো যায়নি। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিচার হচ্ছে না বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রীস আলী বলেন, উদীচী হত্যা মামলাটি উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। বিচারপতি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন মামলাটি দ্রæত শুনানি হয় সেই পদক্ষেপ তিনি নেবেন। কিন্তু আজও এই শুনানি হয়নি। আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হলে নি¤œ আদালতে বিচার কাজ শুরু সম্ভব নয়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.