যশোরে যুবলীগনেতা ম্যানসেলকে বহিষ্কার
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিতের ঘটনা
প্রতিবেদক :
যশোর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে সরকারি অফিসের কর্মচারীকে মারপিট ও নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেবুবুল রহমান ম্যানসেলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে যুবলীগ। আজ বুধবার (৮ মার্চ) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ যুবলীগ ঐতিহ্যেবাহী সুশৃঙ্খল দল। এই সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা সবার নৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব। কিন্তু পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেবুব ম্যানসেল একটি সরকারি অফিসে অনাধিকার প্রবেশ করে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে। হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করে সাধারণ জখম, শ্লীলতাহানি হুমকিসহ হুকুম দানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারা মোতাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশক্রমে মেহেবুব ম্যানসেলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ রোববার জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেবুবুল রহমান ওরফে ম্যানসেলের (৩৬) নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মীরা জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারীকে মারধর হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় মুনা আফরিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মেহবুবসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে পুলিশ ওই চারজনকে আদালতে হাজির করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পলাশ কুমার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে আসামিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেপ্তার মেহেবুবুল রহমান ম্যানসেল যশোর ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকার মো. আলমাসের ছেলে। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন : শহরের রাকিব হোসেন ওরফে ভাইপো রাকিব, অনিক হাসান ওরফে মেহেদী হাসান ও মীর সাদী। সবার বাড়ি যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহেবুবুল রহমান ম্যানসেলের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে পুলিশ ম্যানসেলকে তার বাড়ি থেকে ধরে ছাদে নিয়ে পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে ম্যানসেলের একটি পা কেটে ফেলতে হয়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সন্ত্রাসীদের দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ম্যানসেলের পায়ে গুলি লাগে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তবে এই তিনজন যুবলীগের কোনো পদপদবি না থাকায় সংগঠন থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।