Take a fresh look at your lifestyle.

মেহেরপুরের আমগাছ গুটিতে ভরে যাচ্ছে

0

দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর :
মুজিবনগর আম্রকাননসহ জেলার আমবাগানের গাছে গাছে আমের গুটিতে ভরে গেছে। বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।

স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আমের সুখ্যাতি জগতজোড়া। মেহেরপুরের আম সুস্বাদু হওয়ায় এ জেলার আমের চাহিদা দেশের বাইরে ইউরোপ মহাদেশেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগরে বৃটিশ শাসনামলে তৈরি মুজিবনগর আম্রকাননে ১২শ’ আমগাছ আছে। ওই এক বাগানে ১২শ’ আমগাছ ১২শ’ জাতের। জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরি করা হচ্ছে আমের বাগান। কৃষি বিভাগ আশা করছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে থাকা আম বাগানে ৩৩ হাজার টন আম উৎপাদনের, যা থেকে ১৬০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে। আমচাষিদের মতে, অনুকূল পরিবেশের কারণে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ কারণে এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

আমচাষি নুর হোসেন জানান, এবছর তিনি চারটি আমবাগান কিনেছেন প্রায় ৮ লাখ টাকায়। প্রতিটি বাগান গাছ আমের গুটিতে ভরে গেছে। তিনি আশা করছেন বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকার বেচাকেনা হবে।

আমচাষি বজলুর রহমান জানান, কীটনাশকসহ আম সংগ্রহ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় আমের দাম বাড়েনি। তাছাড়া আমবাগান ব্যবসা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনি বাগান কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে ভরা মৌসুমে বাগান থেকে আম কিনে বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করেন। তাতে ঝুঁকি কম বলে জানান।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শঙ্কর কুমার মজুমদার জানান, জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন বাগান তৈরি হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.