Take a fresh look at your lifestyle.

যশোর আদালত চত্বরে আইনজীবীদের দু’পক্ষের মারামারি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

0

প্রতিবেদক :
যশোরে আদালত চত্বরে সিনিয়র আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আজ সোমবার (২৭ মার্চ) বেলা একটার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সূত্র জানায়, যশোর জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম একটি মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী। মামলার বাদীর অনুপস্থিতিতে মামলার আপোষনামা (প্রত্যাহার) স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু কাজী ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হন ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগিরা। এসময় তারা কাজী ফরিদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে অন্য আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যারিস্টার একেএম গোলাম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগিদের উপর হামলা চালান। এসময় একটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়। উভয়পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। একইসঙ্গে ব্যারিস্টার একেএম গোলাম মোর্ত্তজা ও তার সহযোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট কাজী ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাদীর অনুপস্থিতিতে মামলার প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এতে রাজি হইনি। তখন আমাকে হুমকি দেয়। আমি ইংল্যান্ডের ব্যারিস্টার, আপনাকে দেখে নিবো। তখন আমি বলি আপনার কথায় স্বাক্ষর করবো না। তখন বলে আমার মা আপনাকে বলেছে, আপনি এখানে স্বাক্ষর করেন। আমি বলি না ওখানে স্বাক্ষর করবো না। কারণ ওই ড্রাফটটা আমার না। আমি না পড়ে স্বাক্ষর করবো না। এরপর সে ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে ঘিরে ধরে ভিডিও শুরু করে। তখন আমি বলি সরো আমি যাব। তখন জুনিয়ররা (আইনজীবী) এসে ওদের বলে সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবি করছো কেন। তখন ওরা বলে কিসের সিনিয়র, এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর পরপরই পুলিশ চলে আসে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার একেএম মোর্ত্তজা বলেন, আমার মায়ের একটি মামলার আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। মাকে নিয়ে তার কাছে গিয়েছিলাম। মামলা প্রত্যাহারের কাগজে বাদী ও আইনজীবির স্বাক্ষর দরকার হয়। তাকে স্বাক্ষর করতে বলা হলে তিনি করেননি। উল্টো হুমকিধামকি দেন। একপর্যায়ে ফোন করে লোকজন ডেকে এনে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছেন। আমার গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ বিষয়ে কোনোপক্ষই অভিযোগ দেয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.