Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরের নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব ভাগাভাগি!

0

প্রতিবেদক :
যশোরের নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর প্রাপ্য ৬টি ট্যাবের মধ্যে ৩টি ট্যাব মেধাবীদের না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আর খাতা-কলমে ঠিক রাখতে নিয়ম ভেঙ্গে সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুই ছেলে ও তার এ অনিয়মে সহযোগি এক শিক্ষক প্রতিনিধির ভাগ্নিকে (বোনের মেয়ে) ওই ট্যাব দেয়া হয়েছে দেখানো হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন, ট্যাববঞ্চিত মেধাবী ৩ শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহসানুর রহমানের রোষানল থেকে রক্ষা প্রেতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, মেধাবীদের মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ট্যাব নবম ও দশম শ্রেণির ১ থেকে ৩ রোল নম্বরধারী ৩ জন করে শিক্ষার্থীকে দেয়ার কথা। সম্প্রতি নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে অনেকটা লুকোচুরি করে ওই ট্যাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দেখা গেছে, ৯ম শ্রেণির দুই রোল নম্বরধারী সুরাইয়া ইয়াসমিন ও ১০ম শ্রেণির ১ রোল নম্বরধারী মঈন উদ্দিন ফাইম ও ২ রোল নম্বরধারী রাজ দেবনাথ ওই ট্যাব পেয়েছেন। এছাড়া ৯ম শ্রেণির আরও দুইজনকে এই ট্যাব দেয়া হয়েছে। তারা হলেন : সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানের দুই ছেলে ১০ রোল নম্বরধারী এস রাগীব আবরার ও ১১ রোল নম্বরধারী এসএম কাইফ আবরার। এ শ্রেণিতে ঘোষণা অনুযায়ী পাওয়ার কথা, ১ রোল নম্বরধারী শেখ নওরীন স্বচ্ছ ও ৩ রোল নম্বরধারী আল-রাফি-উর রহমানের। অন্যদিকে, ১০ম শ্রেণির ট্যাবপ্রাপ্ত অপর শিক্ষার্থী হলেন, স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষকের আস্থাভাজন রাসেলা খাতুনের ভাগ্নি ৪ রোল নম্বরধারী তাসনীম তাবাচ্ছুম। যা পাওয়ার কথা ৩ রোল নম্বরধারী রায়হান হোসেনের।

ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, এ অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এরই মধ্যে দুই শিক্ষক ও ৩ শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক ও তার সহযোগিদের বিরাগভাজন হয়েছেন। তাদের নানাভাগে দেখে নেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব নিয়মানুযায়ী দুই শ্রেণির ১ থেকে ৩ রোল নম্বরধারীরাই পাক।

৯ম শ্রেণির ১ রোল নম্বরধারী নওরীন স্বচ্ছর মা শাহিনুর আক্তার পলি জানান, ‘আমার মেয়ে ১ রোল নম্বর হওয়া সত্তে¡ও তাকে ট্যাব না দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ১০ ও ১১ রোল নম্বরধারী দুই ছেলেকে ট্যাব দেয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করার পর আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তবে ট্যাব এখনও দেয়নি’।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ এহসানুর রহমান বলেন, ‘৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের ছেলে এস রাকিব আবরার ও এসএম কাইফ আবরার খুবই মেধাবী। তাই তাদের ট্যাব দেয়া হয়েছে। আর ১০ম শ্রেণির ৩ রোল নম্বরধারী রায়হান হোসেনের চেয়ে ৪ রোল নম্বরধারী তাসনীম তাবাচ্ছুম স্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ‘ভুল করে’ তাবাচ্ছুমের স্থলে রায়হানকে ৩ রোল নম্বর করা হয়েছিল। তাই রায়হানকে না দিয়ে তাবাচ্ছুমকে দেয়া হয়েছে।’ তবে ৯ম শ্রেণির ১ রোল নম্বরধারীকে ট্যাব দেয়ার জন্য তাকে খুঁজছি বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

এদিকে, ট্যাব বিতরণে এ অনিয়ম ও লুকোচুরি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে স্কুলে হৈচৈ শুরু হয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.