Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে বৈকালিক চেম্বারে বাড়ির কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পেয়ে খুশি রোগী

0

প্রতিবেদক :
শিশু আরশী রহমানের (২২ মাস) জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি। গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে পাঁচদিন ওষুধ খাইয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাকে নিয়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈকালিক চেম্বারে এসেছিলেন দত্তকোনা গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বৈকালিক চেম্বারের উদ্বোধনী দিনে আরশীর চিকিৎসা সেবা দেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিক) ডা. জেসমিন সুমাইয়া।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পেয়ে ভীষণ খুশি তানিয়া। বললেন, মাত্র ৩০০ টাকা ফি দিয়ে বাড়ির পাশেই ভালো ডাক্তার দেখাতে পারছি। এ ডাক্তার দেখাতে জেলা সদরে যেতে হলে এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে যেত।

তানিয়া জানান, তাদের বাড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত দত্তকোণা গ্রামে। এ সময় কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গেলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা ফি দিতে হতো। আবার জেলা শহরে যেতে যাতায়াত ভাড়াতো আছেই, সময়ও লাগতো বেশি। সব মিলিয়ে এ ধরনের উদ্যোগে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেকটি কক্ষে বৈকালিক চেম্বার করেন ডা. রঘুরাম চন্দ্র। তার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন উপজেলার পাঁচকাটিয়া গ্রামের রূপা মন্ডল। তিনি কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। মাত্র ২০০ টাকা ফিতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পেরে তিনিও বেজায় খুশি।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ।

এদিকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে আজ থেকে সপ্তাহে দুদিন চিকিৎসকরা বৈকালিক চেম্বারে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখবেন। তবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো সরকারি ওষুধ পাবেন না।

সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, সরকারের পাইলট প্রজেক্টের আওতায় যশোরের দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো এই বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা চালু করা হয়। সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে রোগীরা এখন বিকেলে উপজেলা হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.