Take a fresh look at your lifestyle.

ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামকে অব্যাহতি

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ

0

প্রতিবেদক :
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামকে অব্যাহতি প্রদন করা হয়েছে। আজ রোববার (২ এপ্রিল) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হলো।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করেই নূর ইসলামকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের গ্রুপিং রাজনীতির বলি হয়ে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কেননা আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল ভাইয়ের অনুসারী।

আর আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলেছে, তারা জেলা আওয়ামী লীগের

সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।

-নূর ইসলাম, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা

এমএম কলেজ শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নূর ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগত ও অছাত্ররা শহীদ আসাদ হলে থাকে। তারা প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনা হলের মেয়েদের নানাভাবে ইভটিজিং করে। গভীররাতে হলের ছাত্রীদের নাম ধরে ডাকে, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এমন উত্ত্যক্ত। হলের প্রধান ফটকের সামনে রাতের বেলায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে ধূমপান করে। এছাড়াও আসাদ হলের পাশ দিয়ে মেয়েরা গেলেই তাদের নানা কটূকথা বলে উত্ত্যক্ত করে। এ বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গত ২১ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা নূর ইসলামের নেতৃত্বে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় মেয়েটি বাড়িতে ফিরে যায়। এসব ঘটনার কারণে তার বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো।

এ বিষয়ে বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা নূর ইসলাম বলেন, জেলা ছাত্রলীগের গ্রুপিং রাজনীতির বলি হয়ে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেননা আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল ভাইয়ের অনুসারী। আর আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলেছে তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী। আমাকে বহিষ্কার করায় আমি হতাশ হয়েছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.