![](https://kapotakkho.com/wp-content/uploads/2023/04/dainikkapotakkho_11.4.23_chief_justice_1.jpg)
মেহেরপুর প্রতিনিধি :
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। তারপরও বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মামলাজট কমানোর। চলছে নতুন বিচারক নিয়োগের কার্যক্রম। আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামক বিশ্রামসাগার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় একথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। বিচারকের সংখ্যা একবারেই কম। ইতোমধ্যেই ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে। যা পুলিশি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। আরও একশো বিচারক নিয়োগের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এ রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করছে সরকার। এজন্য প্রতি জেলায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগারের জন্য সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে তুলনামূলক ছোট জেলাগুলোতে একটু কম বরাদ্দ হবে।
![](https://kapotakkho.com/wp-content/uploads/2023/04/dainikkapotakkho_11.4.23_chief_justice_2.jpg)
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধান বিচারপতির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার এস কে এম তোফায়েল হাসান, মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইমলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ আইনজীবিরা।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি মেহেরপুর বিচারক ও আইনজীবীদের সাথে আলাদা আলাদাভাবে মতবিনময় করেন।
পরে প্রধান বিচারপতি মুজিবনগরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।