যশোরে মসজিদের ভিতরে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যার চেষ্টা
আসামিরা বেপরোয়, নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত বাদীর পরিবার
প্রতিবেদক :
যশোরে মসজিদের ভিতরে বীরমুক্তিযোদ্ধার দুই সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। ছুরিকাহত বড় ছেলে কামরুজ্জামান হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ছোট ছেলে আরিফুজ্জামানের হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ আসামি জামিন নিয়েছেন। জামিনে ফিরে তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব আজ বুধবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব বলেন, গত ৮ এপ্রিল বাহাদুরপুর বাশিয়াপাড়া মোল্লাপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে আসরের নামাজের পর তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে কামরুজ্জামানের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এরপর আমি দুই ছেলে কামরুজ্জামান ও আরিফুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাই। মসজিদে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় আসামি জনি, ইমদাদুল, আশিকুর, রিপন, ইমরান ও শাহিনুর ছুরি, রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একত্রিত হয়ে আমাদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আমার বড় ছেলে কামরুজ্জামানের তলপেটে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। আমার ছোট ছেলে আরিফুজ্জামান আসামিদের থামাতে গেলে লোহার রড দিয়ে ডান হাতে আঘাত করে। লোহার রডের আঘাতে ডান হাত ভেঙে গেছে। ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
বড় ছেলে কামরুজ্জামানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার দিন রাতেই ৬ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছি। মামলার দু’দিন পর ৫ আসামি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আরেকজন আসামি পলাতক আছে। আসামিরা এলাকায় ফিরে নানাভাবে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তালবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একরামুল হুদা বলেন, মামলার ৫ আসামি জামিনে আছেন। প্রধান আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা নিয়ে শংকার বিষয়ে বাদী আমাকে কিছু বলেননি। তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, ওহিদুজ্জামান চাকলাদার, সৈয়দ আব্দুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাবের ছোট ছেলে আরিফুজ্জামান প্রমুখ।