প্রতিবেদক :
যশোরে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানা হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সোহেল রানার স্ত্রী খুশি মিম ও ভাইপো জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত খুশি মিমের প্রেমিক ফারাব্বিকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যারাতে যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া-মঠবাড়ি গ্রামের বুকভরা বাওড়ের পাশে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সোহেল রানা (৪০) সদর উপজেলার হালসা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। আটক দুজন হলো : সোহেল রানার স্ত্রী খুশি মিম (২২) ও সোহেলের ভাইপো হালসা বিশ্বাসপাড়ার জিয়াদুল ইসলাম ওরফে জিসান (১৯)।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, চাচা সোহেল রানার সাথে পারিবারিক দ্ব›দ্ব চলছিল জিসানের। অন্যদিকে চাচী খুশি ও তার সাবেক প্রেমিক ফারাব্বির সাথেও সোহেলের শত্রুতা চলছিল। এই সুযোগে জিসান প্রতিশোধ নিতে চাচী ও তার প্রেমিক ফারাব্বির সাথে আঁতাত করে। তিনজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রবাসী সোহেলকে। তবে খুশি ও জিসান আটক হলেও খুশির সাবেক প্রেমিক ফারাব্বিকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার নিহতের ভাই শাকিল খান নিহতের স্ত্রী খুশি মিম, তার ভাইপো জিয়াদুল ইসলাম জিসান ও খুশির সাবেক প্রেমিক ফারাব্বিকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পরে যশোর কোতোয়ালি থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের সদস্যরা খুশি ও জিসানকে গ্রেফতার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভাতিজা জিসান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নিহত সোহেল রানার ভাইপো জিসান আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ এপ্রিল সন্ধ্যারাত ৭টার পর চাচা সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠান। এসময় বিষয়টি জানিয়ে দেন ফারাব্বিকে। যাওয়ার পথে মঠবাড়ির রাস্তায় নিরিবিলি এলাকায় ওৎ পেতে ছিল ফারাব্বি ও তার লোকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফারাব্বিসহ তার সহযোগীরা সোহেলের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মামলার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে খুশি মিম ও জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্ত ফারাব্বিকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।