Take a fresh look at your lifestyle.

যশোর চোরচক্রের দুই সদস্য আটক, মোটরসাইকেল ইজিবাইক উদ্ধার

0

প্রতিবেদক :
যশোরে চেতনানাশক খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ছিনতাইচক্রের অন্যতম হোতাসহ দুই সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা হলো যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা ও ঝিকরগাছা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত রফিজ মোল্লার ছেলে আলী রেজা রাজু ও মাগুরা জেলার মুহাম্মদপুর উপজেলার ইব্রাহিম খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান।

আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।

তিনি জানান, চেতনানাশক খাবার খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই করা এ চক্রের মূল পেশা। প্রথমে চালকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর বিশ্বাস স্থাপন করে চেতনানাশক খাবার খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। বাধা আসলে তারা খুন করতেও পিছপা হয়না। শুধু ইজিবাইকই নয়, মোটরসাইকেলসহ নগদ টাকাও তারা লুট করে থাকে।
তিনি আরও জানান, গত ২১ মার্চ বিকেলে মনিহার থেকে তুষার নামের একজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এছাড়া ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁচড়া বাজার থেকে একইভাবে জাকির হোসেন নামের আরেকজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এই দুই ঘটনায় মামলার তদন্ত পায় ডিবি। দুই ঘটনার সাথেই হোতা রাজুর জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ধরতে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ।

ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ছিনতাইচক্রের দুই সদস্যকে আটক এবং মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক উদ্ধার, ছবি : কপোতাক্ষ

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপম কুমার সরকার জানান, এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম রাজুকে সোমবার বিকেলে শহরের মাইকপট্টি থেকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যে বারান্দীপাড়া ও মাগুরা জেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাই দুটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল এবং একলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একইসাথে এ পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত নজরুলকে আটক করে। চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ জানতে পারেন মোটরসাইকেলটি ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর তারা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়। ওই মোটর সাইকেলের মালিক যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের শওকত আলী নামে একব্যক্তি। শওকত আলী যশোর আদালতে চাকরি করেন। একই এলাকা থেকে জলিল নামে আরেকব্যক্তির‌ একই বছর ডিসকভার ১১০ একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। থানায় নিয়মিত মামলা হলেও আজও সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়নি। ওই মামলায় কয়েক দফা তদন্তকারী অফিসার বদল হলেও মামলার কূল কিনারা পাইনি। ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আরও জানান, এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.