যশোর বোর্ডের ৫ শিক্ষার্থী কারাগারে থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০৫ প্রতিবন্ধী, শ্রুতিলেখক ২২ জনের
প্রতিবেদক :
যশোর বোর্ডের ৫ শিক্ষার্থী কারাগার থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০৫ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে ২২ জন ও কারাগারে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে পাঁচ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, যশোরের পুলেরহাটের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি হিসেবে রয়েছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরমান তালুকদার। সে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার রোল নম্বর ৪১৫৬৫৯। তার পরীক্ষার মূল কেন্দ্র ছিল কলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়। কারাগারে থাকায় যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে তার পরীক্ষা গ্রহণ করে।
নড়াইল জেলা কারাগারে পরীক্ষা দেয় আল মামুন মোল্লা নামে এক শিক্ষার্থী। সে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নোয়াপাড়া শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার রোল নম্বর ২২২১৭৫। নড়াইল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে তার পরীক্ষা গ্রহণ করে।
কুষ্টিয়ার বড়গাংদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। এই শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ১২৪১৭২। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে তার পরীক্ষা নেয়।
খুলনা কেন্দ্রীয় কারাগারে পরীক্ষা দেয় রায়হান শেখ নামে এক শিক্ষার্থী। সে খুলনার ফুলতলা উপজেলার রি-ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার রোল নম্বর ২৬১৭৩৭। খুলনা জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে তার পরীক্ষা গ্রহণ করে।
এছাড়া ঝিনাইদহের খালিশপুর উপজেলার খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পরীক্ষা দিয়েছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ৪০৭১৪৬। ঝিনাইদহ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার পরীক্ষার গ্রহণ করে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও বলেন, প্রথম দিনের পরীক্ষা গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।