Take a fresh look at your lifestyle.

যশোর গৃহবধূর জমিসহ বাড়ি দখলের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান ও থানায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি

0

প্রতিবেদক :
যশোর এক গৃহবধূর তিন শতক জমিসহ দুইরুম বিশিষ্ট ছাদের বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার রামনগরে ইমরান খান পাপ্পু নামে এক ব্যবসায়ী ঐ গৃহবধূর বাড়িটি দখল করেছেন বলে অভিযোগ। আজ বুধবার (৩ মে) দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন পিয়া খাতুন নামে ঐ গৃহবধূ। তিনি রামনগর ইউনিয়নের মুড়লী খাঁ পাড়ার ইজিবাইক চালক ইমরান হোসেনের স্ত্রী। তবে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন অভিযুক্ত ইমরান খান পাপ্পু। সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূর স্বামী ও দুই শিশু উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগে পিয়া খাতুন উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে রামনগর ইউনিয়নের মুড়লী ৮৪ মৌজায় ৮ শতক জমির মধ্যে আব্দুল আজিজ খানের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকায় তিন শতক জমি ও দুই রুম বিশিষ্ট পাকা ছাদওয়ালা বাড়ি কিনেছিলাম। এরপর স্থানীয় একব্যক্তির কাছে বাড়িটি ভাড়া দিই। কিন্তু চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আমার তিন নম্বর সন্তান প্রসবকালে হাসপাতালে ভর্তি হলে ইমরান খান পাপ্পু নামে একব্যক্তি আমার ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়াকে মারধর করে জিনিসপত্র ভাংচুর করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। আমি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর বাড়িটি ছাড়তে বললে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এবং লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। এই ইমরান খান পাপ্পু হলো রামনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফের আপন খালাতো ভাই ও জমির প্রথম মালিকানা আব্দুল আজিজ খানের ভাইপো। এই ঘটনার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলে তার কাছ থেকে কোনো সুবিচার পাইনি। বরং তিনি (চেয়ারম্যান) আমাকে জমিটি বিক্রি করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো উপকার পাইনি।

পিয়া খাতুন আরও বলেন, আমার স্বামী একজন ইজিবাইক চালক। আমার তিনটি সন্তান আছে। পৈত্রিক ভিটাবাড়িসহ অন্যান্য জমি এবং গাছগাছালি, নিজের অলংকার এবং গরু ছাগল বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এই জমিসহ বাড়িটি কিনেছি। নিজের জমিবাড়ি থাকা সত্বেও এখন আমি বাসা ভাড়া করে থাকছি। দ্রæত বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই গৃহবধূ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমরান খান পাপ্পু বলেন, মুড়লি মৌজায় দাদার ৮.২৫ শতক জমি রয়েছে। ঐ পারিবারিক জমিটি এখনও আমাদের চাচাদের মধ্যে ভাগ হয়নি। তারপরও চাচার কাছ থেকে পিয়া খাতুন তিন শতক জমি কিনেছে। জমিটি নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তাকে আমরা বলেছি মামলাটি নিষ্পত্তি হোক। তারপরই তিনি জমিসহ বাড়িটি ভোগদখল করতে পারবে। জমি দখল করে নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.