![](https://kapotakkho.com/wp-content/uploads/2023/05/dainikkapotakkho_10.5.23_humanchain_1-scaled.jpg)
যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
প্রতিবেদক :
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদলের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা। এসময় বাদলের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে শ্লোগান দেন তারা। এসময় বক্তারা অভিযুক্তদের ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আন্দোলনের একপর্যায়ে যবিপ্রবি প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ আল এমরান এসে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা পত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যান এবং উপাচার্য না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। আগামী (১৩ তারিখ) রিজেন্ট বোর্ডে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও কর্মচারী শাহিনুর রহমান সাগরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে চারশতক জমি ক্রয় করে ফটোকপির দোকান দিয়ে তার পড়াশোনার খরচ চালান। কিন্তু সেই জমি দখল নেয়ার জন্য বাদল বিভিন্ন সময় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন ভুক্তভোগীর কাছে। চাঁদা না দিলে জমিতে উঠতে দেবেন না বলে হুমকি দেন বাদল। ভুক্তভোগী মামুন কোনো ব্যবস্থা না করতে পেরে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে বিচারক জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিষয়টি বাদল জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে রাতে দোকান ও জমি দখল করতে আসে। তাদের বাধা দিলে বাদলের নেতৃত্বে তারা হাতুড়ি দিয়ে মামুনকে হত্যার চেষ্টা করে। এ অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন এই বাদল। এর আগেও ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাÐের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদলকে। বাদলের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ডজনখানেক মামলা আছে। সম্প্রতি হত্যা মামলায় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।