Take a fresh look at your lifestyle.

চৌগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারপিটের অভিযোগ প্রমাণিত

0

প্রতিবেদক :
যশোরের চৌগাছায় প্রধান শিক্ষকের হাতে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে প্রমাণিত হয়েছে। তবে তদন্তের ৪০ দিন পার হলেও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্টো ওই প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে অভিযোগকারীকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল (রোজার মাসে) স্কুল চলাকালিন সময়ে চৌগাছা শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বিদ্যালয়ের চামেলী শাখায় ইংরেজি বিষয়ে পাঠদানের সময় ক্লাসের সকল (রোজাদারসহ) শিশু শিক্ষার্থীকে লাঠি ও ডাস্টার দিয়ে মারপিট করেন। এতে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার মা’কে জানালে পরদিন ৫ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। একইসাথে তিনি অভিযোগে জানান অভিভাবকদের মূল্যায়ন করেন না, মুখে যা আসে তাই বলেন। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করেন। প্রধান শিক্ষককের পাঠদান ত্রæটিপূর্ণ। বিদ্যালয়ের সার্বিক দিকে নজর দেন না। বিদ্যালয়টি খুবই অপরিচ্ছন্ন। ওয়াশরুমগুলো ব্যবহারের অনুপযুক্ত। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। অভিযোগে এসব বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তদন্তে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

-ইরুফা সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  

এরই প্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল উপজেলা শিক্ষা অফিসের তিনজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিছার আলী, হায়দার আলী এবং সাইফুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়। একইসাথে তদন্ত কর্মকর্তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্তে মারপিটসহ সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, তদন্তে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, এখনও ফাইলটি আমার কাছে আসেনি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মারপিটসহ তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই শিক্ষার্থীকে মারপিট করিনি। শুধু লাঠি ঘোরাতে গিয়ে একটু লেগেছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.